'হ্যালো' আমাকে এগিয়ে দিয়েছে

"আমি সর্বপ্রথম 'হ্যালো'র কার্যালয়ে যাই ২০২১ এর নভেম্বরে।"
'হ্যালো' আমাকে এগিয়ে দিয়েছে

বাংলা ভাষায় শিশু সাংবাদিকতার প্রথম সাইট হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আজ দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

ছোটোবেলা থেকেই সহশিক্ষা কার্যক্রমের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক। একদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একটি সংবাদ প্রতিবেদন পড়তে দিয়ে জানতে পারি 'হ্যালো'র বিষয়ে। 'হ্যালো'র সাইট ভিজিট করে শিশুদের লেখা পড়ে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয় শিশু সাংবাদিকতা করার। শিশু সাংবাদিকতার নিবন্ধন ফরম পূরণ করে আমিও হয়ে যাই 'হ্যালো'র শিশু সাংবাদিক।

এখন আমি অনেক দ্রুত একটি সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করতে পারলেও আগে তা পারতাম না। 'হ্যালো'তে পাঠানো আমার প্রথম লেখাটা প্রকাশ হতে সময় লেগেছিল বেশ কয়েকদিন। একেবারে শুরুতে আমি সাংবাদিকতার কিছুই বুঝতাম না, ভুল হতো প্রচুর। সেসময় 'হ্যালো'র দপ্তর থেকে অনেক ধৈর্য সহকারে আমার সেই ভুলগুলো শুধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

'হ্যালো'র শিশু সাংবাদিক হিসেবে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েও আমি অনেক কিছু শিখেছি। বস্তির জীবন নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে দেখেছি তাদের দুরবস্থা।

আমাদের সমাজে নারীরা আজও অবহেলিত, নারীদের এমন অবস্থা তুলে ধরে আমি আমার বেশিরভাগ প্রতিবেদন তৈরি করেছি। শুধু আমি নই, 'হ্যালো' সবসময়ই নারী-শিশুদের অধিকার নিয়ে কথা বলে।

'হ্যালো'তে প্রকাশের জন্য কোনো ফিচার লিখলে, আমি সেই বিষয়টা নিয়ে অনেক পড়াশোনা করি। আমার প্রতিবেদনে হয়ত সব তথ্য ব্যাবহার করার সুযোগ হয় না কিন্তু আমি অনেক কিছু জানতে পারি।

আমি শুধু 'হ্যালো'র জন্য প্রতিবেদনই তৈরি করি না, 'হ্যালো'তে প্রকাশিত সব শিশু সাংবাদিক সহকর্মীদের লেখা পড়ি এবং তাদের ভিডিও প্রতিবেদনগুলো দেখি। সেই প্রতিবেদনগুলো থেকে আমি যেমন খবরাখবর জানতে পারি, তেমনি বাড়াতে পারি আমার প্রতিবেদন তৈরির দক্ষতাও।

আমি সর্বপ্রথম 'হ্যালো'র কার্যালয়ে যাই ২০২১ এর নভেম্বরে। একটি গোলটেবিল বৈঠকের সঞ্চালনা করতে আমাকে ডাকা হয়েছিল। এরপর 'হ্যালো'র বেশ কয়েকটি গোলটেবিল বৈঠকের সঞ্চালনা করেছি আমি। ফলে আমার শিশু সাংবাদিকতার প্রতি আগ্রহ এবং ভালোবাসা দুটোই বেড়ে গেছে বহুগুণ।

গত বছরের ১১ অক্টোবর 'হ্যালো'র হয়ে ইউনিসেফ আয়োজিত কন্যা শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে 'স্টেম এডুকেশন' নিয়ে বক্তব্য দেই এবং সারাদেশের শিশুদের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হাতে 'কল ফর একশন' তুলে দেই। কৃতজ্ঞতা হ্যালোর প্রতি, যে আমাকে এভাবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা রইল। দশ পেরিয়ে বহুদূর যাবে 'হ্যালো', এটাই প্রত্যাশা।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com