নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হলো আমার স্কুল নজরুল শিক্ষালয়ে।
এক সপ্তাহ আগে থেকেই চলছিল শহীদ দিবস পালনের প্রস্তুতি। বরাবরের মতোই দেয়ালিকা নির্মাণের নেতৃত্ব দিয়েছি আমি। তবে এবারের দেয়ালিকাসহ অনুষ্ঠানের পুরো কর্মসূচিতেই ছিল ভিন্নতা। নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির শতভাগ শিক্ষার্থীই আগ্রহ নিয়ে সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে।
লেখা সংগ্রহের পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা শহীদ দিবসের দেয়ালিকাটি নির্মাণ করি। দেয়ালিকা নির্মাণে আমাকে সহযোগিতা করে সুমাইয়া, কবিতা, মরিয়ম, মিথিলা, মনিকা, শাম্মী, রাফিন, তানজীম এবং তুরাব।
দেয়ালিকা নির্মাণ ছাড়াও ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শহীদ দিবসের র্যালির জন্য অনেকগুলো ফেস্টুন এবং ব্যানার তৈরি করে। তারা এসব কাজে একেবারেই নতুন হওয়ার আমি কিছুটা দিক নির্দেশনা দিয়েছিলাম।
এরপর একুশের সকালে শিক্ষার্থীদের বানানো ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে শহীদ দিবসের র্যালি হয় এবং আমরা শহীদদের স্মৃতির স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আকলিমা জাহান ম্যাডামসহ অন্যান্য শিক্ষকরা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানান তারা।
সবশেষ তৃতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করি আমি এবং আমার সহপাঠি আব্দুল হাফিজ তানজীম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা গান, কবিতা, নাটক এবং নৃত্য পরিবেশন করেন।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।