কোনো কোনো পরিবারে এখনো একটি শিশুর মেয়ে হয়ে জন্মগ্রহণ করাই যেন অপরাধ। এ যেন এক বোঝা।
কীভাবে অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা যায় সে চিন্তাই যেন করি এখনো আমরা।
বিশ্ব যখন মঙ্গল জয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে আমরা তখনও স্কুলের গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই কন্যা শিশুকে বসিয়ে দেই বিয়ের পিড়িতে।
খোঁড়া যুক্তি কিংবা অজুহাত দিয়ে বাল্যবিয়ে করতে বাধ্য করি শিশুদের। এতে নিয়মিত নিজের স্বপ্ন কবর দিচ্ছে হাজার হাজার কন্যা শিশু।
বাল্যবিবাহ আমাদের সমাজের একটি ব্যধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশে মূলত মেয়েরাই বাল্যবিয়ের শিকার হয়। এতে শুধু কিশোরীর স্বপ্নই ভঙ্গ হয় না, অনেক সময় সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ দিতে হয় অনেককেই।
অথচ শুধুমাত্র বাল্যবিয়ে থেকে মেয়েটিকে বাঁচিয়ে রাখলে হয়তো সেই মেয়ে কোনো একদিন হতে পারত দেশ ও দশের সম্পদ। বিশ্ব দরবারে নিজের দেশের পতাকাকে তুলে ধরতে পারত।
বিভিন্ন সংগঠন এবং সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের ফলে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে প্রচার করা হলেও এখনো বাল্যবিবাহ বন্ধ হচ্ছে না কেন? আর কারাই বা মদদ দিচ্ছে বাল্যবিবাহে? এই প্রশ্নগুলার কোনো উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না।
সর্ষেতেই ভূত থাকলে সে ভূত তাড়াবে কে? অর্থাৎ যাদের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে বন্ধ হওয়ার কথা ছিল তারাই বাল্যবিয়েতে মদদ দিচ্ছে বলে আমি দেখেছি।
বাল্যবিবাহের মদদদাতাদের একটি বড় অংশ হচ্ছে কাজী কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। যারা মিথ্যা জন্মনিবন্ধন কিংবা অন্য কোনো উপায়ে সহজ করে দিচ্ছেন বাল্যবিবাহের পথ এবং একেকটি মেয়ের জীবন ফেলছেন হুমকির মুখে, কবর দিচ্ছেন শত সম্ভাবনাকে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: মৌলভীবাজার।