বিকেল হলেই দেখতাম গ্রামের শিশুরা ধান কাটার পর ফাঁকা জমিগুলোতে ব্যাডমিন্টন খেলছে।
Published : 26 Jan 2025, 08:12 PM
আমি শহরে থাকি, তাই গ্রামের শীত মানেই আমার কাছে এক অন্যরকম ভালো লাগা। এবার শীতের ছুটি কেটেছে নানুবাড়ির গ্রামে। বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলায় এর অবস্থান।
এই গ্রামটিকে ঘিরে আছে অনেক গাছপালা। শীতের সকালে গাছের পাতায় জমে থাকা শিশির যেন ঝরে পড়ে ছোট ছোট বৃষ্টির ফোঁটার মত।
গ্রামের মাঝে একটি বড় বিল রয়েছে। এই বিলের শাপলা দেখে মনে হয় বিলটা যেন শাপলা ফুলের চাদরে ঢেকে আছে। নানুবাড়িতে থাকাকালীন রোজ ভোরে আমি শিশির আর শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতাম। বন্ধুরা মিলে বিল থেকে শাপলা তুলে আনতাম।
শীতকাল মানেই গ্রামের ঘরে ঘরে পিঠার উৎসব। এ সময়টাতে গৃহিণীরা নতুন ধানের চাল গুঁড়া করে খেজুরের গুড় দিয়ে নানা রকমের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করে থাকে।
নানুবাড়িতে আমি অনেক পিঠাপুলি খেয়েছি। প্রতিটি পিঠার স্বাদ ছিল সত্যিই অসাধারণ। পুরো গ্রামজুড়ে পিঠা তৈরি আর খাওয়ার এই উৎসব আমার কাছে দারুণ লেগেছে।
বিকেল হলেই দেখতাম গ্রামের শিশুরা ধান কাটার পর ফাঁকা জমিগুলোতে ব্যাডমিন্টন খেলছে। আমিও তাদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলে সুন্দর সময় কাটিয়েছি।
আমি যে সময়টায় গ্রামে ছিলাম তখন ছিল সবজি তোলার মৌসুম। শিম, আলু, টমেটো আর গাজরের মত নানা রকম সবজি তোলার কাজে বড়দের সহযোগিতা করেছি। এই কাজটা আমি বেশ উপভোগ করেছি।
শহরের তুলনায় গ্রামে শীতের অনুভূতি একটু বেশি মনে হয়েছে। তাই কোনো কোনো সন্ধ্যায় উঠানে আগুন জ্বালিয়ে চারপাশে বসে আড্ডা-গল্পে মেতে উঠতাম আমরা।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: বগুড়া।