রাতের বেলা সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করতে অসম্ভব ভালো লেগেছিল। আমরা সৈকতে বসে কান পেতে সমুদ্রের গর্জন শুনেছি।
Published : 15 Sep 2024, 07:15 PM
আমরা সাত বন্ধু মিলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করি। সে অনুযায়ী সিলেট থেকে চট্টগ্রামের ট্রেনের টিকেট কেনা হয়। কিন্তু বাধ সাধে আকষ্মিক বন্যা।
হঠাৎ করে বন্যায় ডুবে যায় ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলা। সিলেটের সঙ্গে অন্য জেলার ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর আমরা ট্রেনের টিকেটের তারিখ পরিবর্তন করি। ঠিক হলো ২৭ অগাস্ট আমরা রওনা হব। কিন্তু এই তারিখেও ট্রেন চলাচল শুরু হবে কিনা এই নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল।
আগের দিন রাতে জানতে পারি ২৭ অগাস্ট থেকে সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এই খবর পেয়ে আমরা খুব আনন্দিত হয়েছি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৭ অগাস্ট রাত ১০টায় সিলেট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হই আমরা। পরদিন সকাল ৬টার দিকে আমরা চট্টগ্রাম পৌঁছাই। রেলস্টেশনে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিই। এরপর আরেকটি ট্রেনে চড়ে কক্সবাজারের পথে রওনা হই।
আমরা কক্সবাজার রেলস্টেশনে পৌঁছাই বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে। এরপর ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় চড়ে বসি। এবার আমাদের গন্তব্য রিসোর্টের দিকে। আমরা সুগন্ধা সৈকতের কাছে একটি রিসোর্টে উঠি।
সেদিন রাতে লাবণী সৈকতে কিছুটা সময় কাটাই। রাতের বেলা সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করতে অসম্ভব ভালো লেগেছিল। আমরা সৈকতে বসে কান পেতে সমুদ্রের গর্জন শুনেছি। মনের আনন্দে বন্ধুদের কেউ কেউ তখন গান গেয়েছে।
দ্বিতীয় দিন সকালে নাস্তা সেরে আমরা আবার লাবণী সৈকতে যাই। সবাই মিলে সমুদ্রে গোসল করি এবং ছবি তুলি। তৃতীয় দিন মোটরসাইকেল ভাড়া করে আমরা মেরিন ড্রাইভে ঘুরতে যাই। পরের দিন হিমছড়ি ঝরনা, ইনানী সৈকত, কাকড়া সৈকত ও পাটুয়ারটেকে ঘুরে বেড়াই।
পঞ্চম দিনটি ছিল কক্সবাজারে আমাদের শেষ দিন। এদিনের বেশির ভাগ সময় আমরা সুগন্ধা সৈকতে কাটিয়েছি। বিকেলে সূর্যাস্ত দেখে রিসোর্টে ফিরে আসি। রাতে সুগন্ধা মার্কেটে সবাই মিলে কিছু কেনাকাটা করি।
পরের দিন সকালে আমরা বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হই। রাস্তায় যানজটের কারণে বাস থেকে নেমে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চড়ে বসি। আমরা যখন চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে পৌঁছাই তখন ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুইসেল বাজাচ্ছিল। আমরা দৌড়ে ট্রেনে উঠে পড়ি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: সিলেট।