আমি যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার এক বান্ধবীর বিয়ে হয়ে যায়। তখন তার বয়স ১২ কিংবা ১৩ হবে!
এই অল্প বয়সে একটি মেয়ের পড়াশোনা করার কথা। কিন্তু সে আজ শ্বশুরবাড়িতে অনেকটা বন্দি অবস্থায় থাকে। সাংসারিক দায়িত্বের চাপ আর নিয়মনীতির বেড়াজালে তাকে আটকে থাকতে হয়।
এরকম হাজারো ঘটনা ঘটছে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে শিশুদের সঙ্গে। বাল্যবিয়ের পেছনে শুধু দরিদ্রতা নয়, ধর্মীয় কুসংস্কার ও অসচেতনতা দায়ী বলে আমি মনে করি।
আধুনিক যুগে এসেও সমাজে রয়ে গেছে বাল্যবিয়ের মতো সামাজিক একটি ব্যাধি। বাল্যবিয়ের শিকার হওয়া শিশুদের অভিভাবকরা ভাবছেন না তার সন্তানের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা । যার ফলে শিশুরা বিয়ের পর নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে । ফলে তাদের বড় হওয়ার স্বপ্ন বাল্যবিয়ের মধ্য দিয়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে ।
অনেক শিশু ভেবে রাখে সে বড় হয়ে সাংবাদিক হবে, চিকিৎসক হবে বা পুলিশের সদস্য হবে। বাল্যবিয়ে দিয়ে দিলে ওই মেয়েটির স্বপ্ন থেমে যায় সেখানেই। অনেক সময় বলা হয় বিয়ের তার পড়াশোনা চালিয়ে নিতে দেওয়া হবে। কিন্ত বাস্তবে আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। স্বপ্ন থেকে যায় অধরাই।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: শেরপুর।