বাল্যবিয়ে রোধে চাই অভিভাবকের সচেতনতা

শিশুরা কী বলতে চায়, তা শোনার প্রয়োজন মনে করে না অনেক অভিভাবকই।
বাল্যবিয়ে রোধে চাই অভিভাবকের সচেতনতা

অভিভাবকরা সন্তানকে যখন বাল্যবিয়ে দেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা শিশুটির মতামত নিতে চান না।

শুধু বাল্যবিয়ে নয়, শিশুর মতামত অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত থাকে। শিশুরা কী বলতে চায়, তা শোনার প্রয়োজন মনে করে না অনেক অভিভাবকই। তাই বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রেও এটা বেশ প্রকট ভাবে প্রতিফলিত হয় যে, শিশুকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়।

দরিদ্রতা, সচেতনতার অভাব, প্রচলিত প্রথা ও কুসংস্কার, মেয়েদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব, নিরাপত্তার অভাবসহ নানা কারণ বাল্যবিয়ের জন্য দায়ী।

বিভিন্ন কারণেই বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটে থাকলেও আমি মনে করি এখানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে অভিভাবকের। তারা চাইলে বাল্যবিয়ের কোনো সুযোগই তৈরি করা সম্ভব না।

অভিভাবকের অসচেতনতা নষ্ট করে দিচ্ছে অনেক কিশোরীর জীবন। অভিভাবকরা যেখানে মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বিয়ের আয়োজন করছে, সেখানে ঘটছে উল্টো ঘটনা। কিশোরীর জীবন মৃত্যু ঝুঁকিতেও পড়ছে এই বাল্যবিয়ের জন্য।

গ্রামাঞ্চলের মেয়েরাই বেশি বাল্যবিয়ের কবলে পড়ে৷ গ্রাম পর্যায়ে তাই সচেতনতা পৌঁছে দিতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মায়েদের নিয়ে আয়োজন করা যেতে পারে বাল্যবিয়ে নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: সিলেট।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com