ওই ক্লিকটিই আমাকে যুক্ত করিয়ে দেয় হ্যালোর সাথে। হঠাৎ ওই বছরের নভেম্বরে একদিন কল আসল। অফিস থেকে জানানো হয়, আমার জেলায় হ্যালোর কর্মশালা শুরু হবে৷ আমাকে নির্বাচন করা হয়েছে, আমি এই কর্মশালায় অংশ নেব কিনা আমার মতামত জানতে চাওয়া হয়।
আমি দ্বিতীয়বার না ভেবেই বলে দেই আমি থাকতে চাই। জেলা শহরের একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলন কক্ষে শুরু হলো কর্মশালা। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের রিয়াসাদ সানভী ভাইয়া ছিলেন প্রশিক্ষক হিসেবে।
কর্মশালায় মৌলিক সাংবাদিকতার ধারণা, সংবাদ ও ফিচার লিখন, শিশু সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার সমস্যা ও সমাধান, মোবাইল ফোনে সংবাদ ও ভিডিও প্রতিবেদন তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
দুই দিনের কর্মশালা আমাকে সাংবাদিকতা নামের নতুন জগৎটাকে চিনিয়ে দেয়। শুরু হয় আমার পথচলা। তখন আবার শুরু হলো করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। আমি যেহেতু গ্রামে থাকি গ্রামের শিশুদের চিত্র তুলে ধরি আমার ক্যামেরায়।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমার প্রতিবেদন যখন প্রকাশিত হয় তখন শিশুরা অনেক খুশি হয়। অনেক কিছু নিয়ে আমি প্রতিবেদন তৈরি করেছি। হ্যালো আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে। কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ বেশ কয়েক বার মাস সেরা প্রতিবেদকের পুরস্কারও পেয়েছি, যা আমাকে সামনে এগিয়ে যাবার পথে বেশ উৎসাহ দিয়েছে।
হ্যালো আমার ভালোবাসার অনেকটা জায়গা জুড়ে। আমাদের এক সঙ্গে থাকার সময়টা ফুরিয়ে যাচ্ছে। কেননা বয়স ১৮ হয়ে গেলে বিদায় নিতে হয় হ্যালো থেকে। যে কয়েকদিন আছে নিয়মিত লিখতে চাই হ্যালোর পাতায়।