সাধারণত একজন কন্যাশিশু যখন শিশু বয়স থেকে কিশোরী বয়সে পা দেয় অর্থাৎ ১০ থেকে ১২ বছর বয়সে পৌঁছায় তখন তার ঋতুস্রাব হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবার থেকে শেখানো হয় মাসিক একটি লজ্জাজনক ও গোপনীয় বিষয়।
অনেক সময় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরাও পাঠ্যবইয়ের প্রজনন স্বাস্থ্যের অধ্যায়গুলো বিস্তারিত পড়াতে চান না। অনেক কিশোরী এই বিষয়গুলোতে যথেষ্ট ধারণা না থাকায় পড়তে হয় নানা বিপত্তিতে।
একটি মেয়ে যদি মাসিক হওয়ার আগে থেকেই এই বিষয়টা জানতে পারে তাহলে বিষয়টা তার কাছে সহজ হয়ে যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা শিশুদের কাছে গোপন বিষয় হিসেবে থেকে যায়। কেউ কেউ তার সমবয়সী বন্ধুদের কাছ থেকে ভুল ধারণা নিয়ে থাকে।
মাসিক নিয়ে কুসংস্কারের শেষ নেই। অনেকেই মনে করেন মাসিকের রক্ত নাপাক তাই ঝাঁড়ফোক করতে নিয়ে যান। কিন্তু এটা যে কোনো রোগ নয়, এটিই যেন তারা বুঝতে চেষ্টা করেন না।
আবার একজন নারী যখন দোকানে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে যায় তখন দোকানদার ন্যাপকিনের প্যাকেটটি এমন ভাবে কাগজে মুড়িয়ে দেন যেন এটা কোনো অবৈধ জিনিস কেনা হচ্ছে। দোকানে থাকা অন্য অনেকে আবার মেয়েটার দিকে এমন ভাবে তাকায় যা খুবই অপ্রত্যাশিত। তাই অনেক মেয়ে চেষ্টা করে যে দোকানে ভিড় কমলে সে দোকান থেকে ন্যাপকিন কিনতে যাবে।
মাসিক বিষয়টা নিয়ে যদি প্রতিটা মেয়েই তার পরিবার থেকে জানতে পারে। তাহলে প্রথম পিরিয়ড হওয়ার অভিজ্ঞতাটা সুন্দর হবে প্রতিটা মেয়ের। প্রতিটা ছেলের পরিবারও যদি এ নিয়ে সচেতন হয়, ছেলেকে যদি শেখায় তাহলে ছেলেটি কখনো এটা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করবে না বলেই আমার বিশ্বাস।