কেউ হয়ত হাসে আবার কেউ সেটিকে নিয়ে মজা করে, আবার কেউ কেউ অন্যের করা সেই মজার সঙ্গে তাল দেয়। মাসিক একজন কিশোরীর জীবনের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে একজন কিশোরী মা হওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে।
আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, একজন কিশোরী কিংবা নারীকে প্রতি মাসেই ঋতুস্রাব চলাকালীন শারীরিক-মানসিক কষ্ট সহ্য করতে হয়। পেট ব্যথা, কোমর ব্যথা, মাথা ব্যথা, মানসিক চাপ অনুভবসহ নানা রকমের সমস্যা হয়ে থাকে। সেই সাথে শরীর থেকে রক্তপাত হয়ে থাকে।
কিন্তু বিষয়টি আমাদের পরিবার, সমাজে রাখঢাক, কানাকানি আর গোপন করে রাখার প্রবণতা রয়েছে। যেন এটি কোনো অন্যায় কাজ করে ফেলছে মেয়েটি। কিন্তু এটি তো শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একে কুসংস্কারে মুড়িয়ে বরং আরও অস্বাভাবিক করা হয়েছে দিনের পর দিন।
একটি ছেলে ভাই হতে পারে, একটি মেয়ের জীবন সঙ্গী হতে পারে, বন্ধু হতে পারে, সে একদিন কন্যা সন্তানের বাবাও হতে পারে। সংগত কারণেই মেয়েদের সম্পর্কে তার যথেষ্ট ধারণা রাখা উচিত।
অনেক সিঙ্গেল ফাদার আছেন যারা স্ত্রীকে ছাড়াই সন্তানকে বড় করেন। যৌথ পরিবারে না বসবাস করে একক পরিবারেও তারা থাকতে পারেন। সেই বাবা যদি কন্যা সন্তানেরই বাবা হয়ে থাকেন এবং তার যদি মাসিক সম্পর্কে শূন্য জ্ঞান কিংবা ভুল ধারনা হয়ে থাকে তাহলে ওই মেয়ে শিশুটা পড়ে যেতে পারে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
তাছাড়া একজন ছেলে যখন এই স্বাস্থ্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবে সে তার মেয়ে বন্ধু, বোন, সহকর্মী কাউকে নিয়ে মজা করবে না। বরং সে নানাভাবে সাহায্য করে সহযোগীর ভূমিকা পালন করতে পারবে।
মাসিকের বিষয়টি স্বাস্থ্যের সঙ্গে যেহেতু ওৎপ্রোতভাবে জড়িত তাই স্বাস্থবিধি মেনে চলার বিকল্প নাই। পুষ্টিকর খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্ন থাকার মতো অনেক বিধিই রয়েছে। একজন পুরুষ এই সময়টাতে বন্ধু হয়ে পাশে থাকলেই বরং একটা চমৎকার সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।