মা বাবা আমাদের পরম আদর-যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে বড় করে তোলেন।
ব্যতিক্রম ঘটনাও আজকাল পত্র পত্রিকায় পড়ি। সেখানে দেখা যায় মায়ের হাতে কিংবা বাবার হাতেই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে শিশু। সেটা অবশ্য ভিন্ন আলাপ। আজ সেদিকে যাব না। আজ লিখব শুধুই বাবা মাকে নিয়ে।
আজকাল একটা বিষয় আমাকে খুব কষ্ট দেয়, ভাবায়। সেটা হলো শেষ বয়সে অনেক বাবা মা-ই অবহেলার শিকার হন কোনো কোনো পরিবারে। কেন এই অবহেলা? বাবা মা অতি স্নেহ-আদরে যে সন্তানকে বড় করে তোলেন, তারাই কেন শেষ বয়সে বাবা মার দায়িত্ব নেন না।
আর দায়িত্ব নিলেও পরিবারে তাদের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয় না, কেন? কেউ কেউ হয়তো তাদেরকে পরিবারের বোঝা মনে করেন।
যে বাবা নিজে কষ্ট করে তার ছেলের খরচ চালিয়ে যান দিনের পর দিন। বছরের পর বছর যে বাবা পুরনো শার্ট, প্যান্ট পরে কাজ করে ছেলের পরীক্ষার খরচ চালিয়ে যান, নিজে না খেয়ে ছেলেকে টাকা দেন, যাতে ছেলের পড়ালেখায় কোনো সমস্যা না হয় সেই বাবাকে কেন অবহেলা করা হয়?
যে মা ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে রাখেন তাকে কেন অবহেলা করি আমরা? দুনিয়ার সব কিছুই বদলাতে পারে, কিন্তু মায়ের ভালবাসা কখনো বদলাবার নয়। যে মায়ের রক্ত মাংসে আমাদের শরীর গড়া সে মাকে কেন আমর অবহেলা করি?
বৃদ্ধ বয়সে অনেককেই একাকী জীবন কাটাতে হয়। অনেকেই জীবনের তাগিদে শহরে চলে যায়। জীবিকার প্রয়োজনে দূরে যাওয়া কিংবা আলাদা সংসার গড়ে তোলা খারাপ কিছু নয়, কিন্তু বাবা মার খোঁজ তো রাখতে হবে। তাদের সেবা করতে হবে, তাদের প্রতি সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে।