আমি পড়ালেখার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং শিখি। এ ছাড়াও অভিনয় শেখাসহ নানা উন্নয়নমূলক বেসরকারি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজকের পৃথিবীতে প্রযুক্তিগত শিক্ষার বেশ তাৎপর্য রয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেমন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এগিয়ে চলেছে তেমনি বাংলাদেশকেও এগিয়ে রাখতে কিশোরীদের প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। তাই আমি প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করেছি। প্রোগ্রামিং এর দুনিয়ায় প্রথমে আমি সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা শুরু করি। মূলত বই পড়ে আমি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখি। অনলাইনে প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে আমি আমার মেধা যাচাই করে থাকি। মাঝে মধ্যে সমস্যায় পড়লে আমার বড় ভাইদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে থাকি।
আগেই বলেছি আমি অভিনয় শিখি। আমি একজন নাট্যকর্মী। ২০১৫ সাল থেকে আমি নাটকের সঙ্গে জড়িত। আমার প্রথম মঞ্চনাটক ছিল সুজন-সখি। এই নাটকটিতে আমি আমার বিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে সুজনের চরিত্রে অভিনয় করি। তারপর থেকেই আমার নাটকের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। এরপর আমি আমার জেলার নাট্য নিকেতন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হই।
সবাই মিলে এক সঙ্গে আনন্দের সাথে নাট্যচর্চা করার মজাটাই আলাদা। নাট্য নিকেতনের সভাপতি দিলীপ গৌরের নির্দেশনায় বট গাছের ভূত, ছুটি, কিশোর ক্ষুদিরামসহ বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করি। শুধু নিজ জেলায় নয় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বট গাছের ভূত নাটকে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। সুন্দর অভিনয়ের জন্য আমাকে বিভিন্ন সনদপত্র দেওয়া হয়েছে যা একজন অভিনেতার কাজে উৎসাহিত করে।
এছাড়াও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বানানরীতি বিষয়ক কর্মশালাসহ বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছি।