
এক বড় ভাইয়ার মাধ্যমে শিশু সাংবাদিক হিসেবে এখানে আমার যুক্ত হওয়া। তার কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। এই মিষ্টি হ্যালো পরিবারের একজন সদস্য বানিয়ে দেওয়ার জন্য।
শুরুটা হয়েছিল ইউনিসেফের একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সেখানে আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। প্রথমদিন সবাই অপরিচিত, কাউকেই চিনি না আমি।
যেই ভাইয়ার মাধ্যমে গেলাম তিনিও অনুপস্থিত পরীক্ষার কারণে। একটা আপুর সাথে যোগাযোগ হয়েছে অবশ্য, কিন্তু শুধুই আসার আগের পথ নির্দেশনা নিয়েই কথা হয়েছে। না আমি তাকে কখনো দেখেছি, না তিনি আমাকে দেখেছেন।
অফিসে প্রবেশ করতে করতেই আপুকে একটা কল দিলাম। তিনি আসন ছেড়ে উঠে আসলেন আমাকে গ্রহণ করতে। সামনে এসে জিজ্ঞেস করলেন, "রাফা?" আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম। আপু তারপর বললেন, "আমি তনুশ্রী।” খুব ছোট্ট একটি কথা কিন্তু এই কথায় অভয় পেয়েছিলাম। যদিও আমি খুব চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে। নতুন জায়গা, নতুন মানুষ সব কিছুর সাথেই খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারি।
তবুও সেদিন একটু ভয় ছিল যদি কিছু উল্টাপাল্টা করে ফেলি। উপস্থিত সকলেই বয়সে এবং অভিজ্ঞতায় আমার থেকে অনেক বড় ছিল সেদিনটি। আমার চারদিকে এত এত গুণী মানুষজন। সবাই কী সিরিয়াস হয়ে প্রত্যেকটি বিষয়ে তাদের মতামত আলোচনা করছিল, লিখছিল। প্রত্যেকে কী গুছিয়ে কথা বলছে, আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করলাম।
নিজের মতামত গুছিয়ে বলাটাও যে একটা গুণ সেটা সেবার প্রথম উপলব্ধি করলাম। আমার খেলাধুলা, দুষ্টুমি, বন্ধুদের সাথে আড্ডার বাইরের একটি আলাদা দুনিয়া সেই প্রথম আবিষ্কার করলাম।
পড়াশোনার সঙ্গে সহশিক্ষার জগতে প্রবেশ হ্যালোর হাত ধরেই। হ্যালোর কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আর জারিফ ভাইয়ার প্রতিও, কারণ তিনি না জানালে হয়ত আমি এখনো নিজের অনেক কিছুই আবিষ্কার করতে পারতাম না।
আজ অনেকদিন পর হ্যালোতে লিখলাম। পরীক্ষা ও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ব্যস্ততা মিলিয়ে নিয়মিত লেখা হয়নি বহুদিন। হ্যালোর সাথে যুক্ত থাকার সময়ও হয়ত বেশি নেই। তারপর এই লেখাগুলোই স্মৃতি হয়ে থাকবে।
তাই নিয়মিত লেখার চেষ্টা করব। আমার সহকর্মী বন্ধুদের মতো অত দুর্দান্ত লেখা হয়ত হবে না, কিন্ত চেষ্টা করব। হ্যালোকে আরো অনেক কিছু বলার আছে। আরেকদিন হয়ত মন খুলে আরও বলব।