মা তোমায় ধন্যবাদ

প্রিয় মা, তুমি তো জানো, ছোট বেলা থেকে বরাবরই ইনজেকশনে খুবই ভয় আমার।
মা তোমায় ধন্যবাদ

তোমার মনে আছে? যখন আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি তখন কোনো এক কারণে আমার রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। আমি কোনো ভাবেই যাব না। কিন্তু তুমি আর বাবা জোর করে নিয়ে গেল। সেই বার রক্ত পরীক্ষা করতে গিয়ে সে কী চিৎকার আমার! পুরো হাসপাতালের মানুষ হয়তো ভেবেছিল আমার খুব খারাপ কিছু হয়েছে।

এই মহামারির সময়ের ঘটনা। চারিদিকে তখন শুধু মৃত্যুর হাহাকার। সব সময়ই মনের মধ্যে এক আতঙ্ক। কী করবে মানুষ। না আছে এর প্রতিকার, না আছে কোনো ঔষধ। অনেক দিন পর অনেক গবেষণা, পরীক্ষার পর সব শেষে আবিষ্কার হলো করোনাভাইরাসের টিকা। প্রথমে যখন শুনলাম টিকা আবিষ্কার হয়েছে, ইনজেকশন দেওয়া লাগবে, আমি তো ভয়েই শেষ।

তারপর যখন শুনলাম যে ১৮ বছর নিচে যাদের বয়স তাদের টিকা দিতে হবে না তখন আমার সে কী আনন্দ।

কিন্তু সেই আনন্দ বেশি দিন থাকল না। ঘোষণা এলো ১২ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে সকল শিক্ষার্থীকে টিকা গ্রহণ করতে হবে। শুনেই ভয়ে শিউরে উঠি। এরপর যখন শুনলাম একটা নয় দু-দুইটা ডোজ! আমি তো কোনো ভাবেই রাজি না টিকা দিতে। তখন তুমি আমাকে বোঝালে। আমি তো ভেবেছিলাম মরতে হলে করোনাভাইরাসেই মরব কিন্তু টিকা দেব না। সেদিন তুমি যদি না থাকতে, আমাকে যদি না বোঝাতে তাহলে আমার আর টিকা নেওয়াই হতো না।

এখন ইঞ্জেকশনের ভয়ও অনেকটা কমে গেছে। সব কিছুর জন্য অনেক ধন্যবাদ মা। তোমার অনুপ্রেরণায় আমি টিকা নিতে পেরেছি। তোমাকে অনেক ভালোবাসি মা।

ইতি,

তোমার স্নেহের

শ্রীলা

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com