যার ফলে এসব রোগ থেকে আমি এখন অনেকটাই নিরাপদ। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটি ভালোবাসার চিঠি লিখছি যাদের জন্য আমার এ টিকাগুলো নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাই আমার বাবা মাকে। যারা আমাকে সময়মতো প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। আমার বাবা মা কখনো আমার টিকার প্রতি উদাসীন ছিলেন না। যে কারণে এখনো পর্যন্ত অনুমোদিত আমার বয়সোপযোগী প্রয়োজনীয় সকল টিকা আমি সঠিক সময়ে নিতে পেরেছি।
আমি বড় হওয়ার পর আমার মা-বাবা, দাদা-দাদি, ফুপি এবং শিক্ষকসহ অনেকেই আমাকে টিকা নিতে উৎসাহিত করেছেন। তাদের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা।
এরপর আমি চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। যাদের দক্ষ হাত আমাকে টিকা দিয়েছে। তাদের মাধ্যমেই আমি এবং আমার বাবা মা টিকার গুরুত্ব ও কোন টিকা কখন কোথা থেকে কীভাবে নিতে হবে তা জানতে পেরেছি। স্বাস্থ্যকর্মীরা চেষ্টা করেছেন আমি যাতে টিকা নেওয়ার সময় খুব বেশি ব্যথা না পাই। টিকা দেওয়ার ব্যাপারে তারা খুব সাবধানতা অবলম্বন করেছেন। মহামারি, রোগ-শোকের ভয় না করে তারা সব সময় আমাদের সেবা দিয়ে গেছেন। তাই তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
এবার আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই সেই সকল গবেষকদের যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসব প্রাণরক্ষাকারী টিকা আবিষ্কার করেছেন। তারা এসব টিকা আবিষ্কার করেছেন বলেই তো আমরা আজ অনেক রোগ থেকে সুরক্ষিত। তাদের আবিষ্কৃত পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাঁশি, যক্ষ্মা, হাম-রুবেলার টিকা নিয়ে আমি শঙ্কামুক্ত। ধন্যবাদ তাদের যারা টিকা তৈরির জন্য কাজ করেছেন এবং করছেন।
যারা টিকা রাখার জন্য বিশেষ পাত্র, সুই এবং সিরিঞ্জ তৈরি করেছেন তাদের ধন্যবাদ। ধন্যবাদ তাদের যারা টিকা সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটর কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর তৈরি করেছেন।
এসব টিকা তৈরি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিটি পর্যায়ে কাজ করেছেন অসংখ্য মানুষ। অসংখ্য ধন্যবাদ তাদের।
সর্বশেষ আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতি যারা আমাদের টিকা নিতে এবং টিকা কেন্দ্রের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করেছেন।
যাদের কারণে আমার জীবন রক্ষাকারী এসব টিকা নেওয়া সম্ভব হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনি না; দেখিনি কখনো। তবুও তাদের প্রতি আমার অনেক অনেক ভালোবাসা।
ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট সকলকে।