নতুন পরিবেশে স্যারের আন্তরিকতা মন ছুঁয়ে যায়। সেই থেকেই তিনি আমার প্রিয় শিক্ষক।
স্যারের নাম মোহাম্মদ আনোয়ারুল কবির। অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার পর ঠিক করি স্যারের কাছে রসায়ন পড়ব। গ্রুপ নির্ধারণী পরীক্ষার জন্য জানুয়ারি মাস থেকে আমি পড়তে যাইনি।
এরপরের মাসে যোগ দেওয়ায় সহপাঠীদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে যাই। রীতিমতো পড়া ধরতেই পারছিলাম না আমি। একদম অবুঝের মতো স্যারকে বার বার প্রশ্ন করতাম কিন্তু স্যার একটুও বিরক্ত হতেন না। বরং আমায় বোঝানোর চেষ্টা করতেন।
কিছুদিন পর থেকে আমি স্যারের পড়া ভালোমতো বুঝতে শুরু করি। তার আন্তরিকতা যেন বিষয়টিকে আরও সহজ করে দিয়েছে। শিক্ষক বন্ধু হলে সহজ হয়ে যায় পড়াশোনা।
ঈদ উপলক্ষে স্যার আমাদের সবাইকেই ২০ টাকা করে সালামি দিয়েছেন। এটি পেয়ে আমার মনে হয়েছে অমূল্য রত্নের মতন। কেননা এ সালামি কোনো সাধারণ মানুষ দেয়নি। আমার শিক্ষক দিয়েছেন।
আমি ভেবেছি এই ২০ টাকা আমি কোনো দিনই খরচ করব না। স্মৃতি হিসেবে তুলে রাখব। এই টাকা সম্মান ও ভালোবাসার। আমি একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমার শিক্ষকদের সামনে আসতে চাই। সেই দিনটার অপেক্ষা করছি। শিক্ষকদের অবদান কখনো ভুলব না।