জানতে পারি তার নাম নূর জামিল। বাড়ি সুনামগঞ্জ। বয়স কেবল নয় বছর। সে পড়াশোনা করছে তৃতীয় শ্রেণিতে। বাবা সিগারেট বিক্রি করেন। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের সংসার বাবার একলা উপার্জনে চলে না। তাই তাকেও ভিক্ষা করে উপার্জন করতে হয়।
ভিক্ষা ছেড়ে দেওয়া সম্ভব কিনা জানতে চাইলে সে বলে, "ভিক্ষা না করলে খামু কীভাবে। আমাগো তো কেউ কাজেও রাখে না।"
ভিক্ষা করে তিন বেলা খাবার জোগাতেও হিমশিম খেতে হয়, বলছিল জামিল। এরপর ঈদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাই তার কাছে। বিষয়টা সে যেন আমলেই নিল না। সে বলছিল, "ঈদ কি আমাগো লাইগা ভাই? ঈদ তো আপনাগো লাইগা। আমাগো লাইগা সব দিনই সমান।"
এরপর সে আর কথা বলেনি। চলে যায় এখান থেকে। অর্থাৎ তার জীবনে এসব আনন্দ আর আসে না। বয়সটা রঙিন হলেও সময়টা বড্ড ফ্যাকাসে।
ঈদ, পূর্জা, উৎসব, পার্বণ সবদিনই এক এই শিশুদের কাছে। শিশু কাজ করে খাবে, শিশু টাকা উপার্জন করবে এই জিনিসটাই বড্ড বেমানান। প্রতিটি শিশুই খেলবে, শিশু পড়বে, শিশু উৎসবে মাতবে- এমন দিনেরই প্রত্যাশা।