অভাবে বাল্যবিয়ে: তবে যৌতুক দেয় কীভাবে? 

দেশের আইন অনুযায়ী ১৮ বছর হলে একজন ব্যক্তি ভোটাধিকার লাভ করে। তখন তাকে প্রাপ্তবয়স্ক ধরে নেয়া হয়।
অভাবে বাল্যবিয়ে: তবে যৌতুক দেয় কীভাবে? 

এ সময়টাতে নিজের মতামত, নিজের পছন্দ প্রতিফলিত করার সুযোগ পায়। কিন্তু দেশের বাস্তবতা হলো ছেলেরা ১৮ এর আগেই নিজের ইচ্ছেমতো চলতে পারলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। মেয়েদের জন্য আরোপ করা হয় নানা বিধিনিষেধ। সব পরিবারই যে এমনটা করে তা নয়, তবে যারা করে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। 

মেয়েদের মতামতের গুরুত্ব দিতে চান না অনেক পরিবারই। বাল্যবিয়ের মতো ঘটনাগুলোও মেয়েদের মতামতকে প্রত্যাখ্যান করেই আয়োজন করা হয়। 

এখনকার কিশোরীরা পড়াশোনা করে। ইন্টারনেটের বদৌলতে তারা অনেক কিছু জানতে পারছে, তাই সচেতনও হচ্ছে। কিন্তু পরিবারগুলোই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মূল্যায়ন করতে চায় না মতামতকে।

মহামারির সময় যেভাবে বাল্যবিয়ের খবর এসেছে তা রীতিমতো ভয়ংকর। এত সরকারি উদ্যোগ, এত সচেতনতা চারদিকে তবুও কীভাবে ঘটছে বুঝে উঠতে পারি না। 

আমার মনে হয়, জনপ্রতিনিধিরা যথাযথ ভূমিকা পালন করেন না। ১৮ না হলেও টাকার বিনিময়ে বয়স বাড়িয়ে সনদ দিয়ে দেন অনেকেই। কাজীরাও অনেকে জড়িত। এ দায় তারাও এড়াতে পারবে না।

মহামারিকালে অনেক পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। আর সেটার বলির পাঠা হয়ে গেছে কিশোরীরা। পরিবারের অবস্থা দেখে প্রতিবাদ করার ভাষাও হয়ত হারিয়ে ফেলেছে তারা। আমার নিজের এলাকাতেও এখন কিশোরী নেই বললেই চলে। সবাই এখন কোনে না কোনো বাড়ির বধূ।

শুধু টাকার অভাবে যে কিশোরীদের বাল্যবিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে- এটা আমি মানতে নারাজ। এসব বিয়েতে মোটা অংকের যৌতুক দিতেও দেখেছি। মা-বাবা কি পারছে না এই টাকায় মেয়েটার ভবিষ্যত গড়ে দিতে?

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com