শিশুদের কথা শুনুন

শিশুদের রয়েছে মত প্রকাশের অধিকার। তারা কী করবে কী করবে না এটা ঠিক করার অধিকার তাদের আছে।
শিশুদের কথা শুনুন

ভুল হলে পরিবার তা সংশোধন করে দিবে, কিন্তু তাদের মতামতটা নিতে হবে। এতে সহজেই শিশুরা ভুলকে সঠিক করতে পারবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।

শিশুদের চাওয়াটা যদি একেবারে ভালো না হয় তাও মূল্যায়ন করতে হবে। সে ইচ্ছা শক্তি আর প্রচেষ্টার মাধ্যমে কল্পনার থেকেও এগিয়ে যেতে পারে।

মূল্যায়ন না করা হলে পরিবার থেকে দূরে সরে যায় শিশুরা। অনেক কিছুই অভিভাবকের কাছে লুকিয়ে রাখে। পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না বলেই তারা এমনটা করে থাকে। যা এক সময় মানসিক চাপও সৃষ্টি করে। 

মনে করুন, একজন শিক্ষার্থী অষ্টম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সময় তার ইচ্ছা মানবিক বা বাণিজ্য শাখায় পড়াশোনা করবে, কিন্তু পরিবারের চাপে তাকে বিজ্ঞান শাখা বেছে নিতে হলো। এটা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়ে গেল, যেটা তাকে পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহী ও অমনোযোগী করে দিতে পারে। যা শিশুর ভবিষ্যতকেই নষ্ট করে দিতে পারে। অথচ অনেক অভিভাবকই এমনটা করে থাকেন। 

শুধু তাই নয়, আমরা যখন কোনো ভুল করি তখন আমাদের উপর চাপ দেওয়া হয়, কেন এই ভুলটা করলাম৷ অথচ আমাদের বুঝিয়ে বললে হয়তো পরে এই কাজটা আমরা আর কখনো করব না। এটা আমাদের বিবেকবোধকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। 

শিশুদের জন্য এরচেয়েও বেশি কষ্টকর একটি বিষয় হলো অন্যের সঙ্গে তুলনা করা। আরেকজন ভাত খায়, ভালো ফলাফল করে, তুমিও ভাত খাও, তবে কেন ভালো ফল করতে পার না- এই ধরনের কথাগুলো বিমর্ষ করে দেয় প্রতিটা শিশুকেই। বড়দের বোঝা উচিত সবার সক্ষমতা এক নয়। এই ধরনের তুলনা করলে হীনমন্যতা তৈরি হয় আমাদের মধ্যে। আমাদের এবার দয়া করুন, আমাদের কথা শুনুন।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com