আমাদের ছোট্ট পাঠাগার

দিনটি ছিল শুক্রবার, বন্ধুকে নিয়ে আমি স্থানীয় এক পাঠাগারে যাই।
আমাদের ছোট্ট পাঠাগার

গিয়েই দেখি একদল শিশু-কিশোর বই পড়ায় ব্যস্ত। সাথে রয়েছে কয়েকজন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী।

একজন দেখলাম কিছু একটা লিখছেও।

বলছিলাম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ছয় নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের কান্দরপাড়া গ্রামের ছোট্ট এক পাঠাগারের কথা। এটি খুবই প্রত্যন্ত একটা গ্রাম। 

এমন একটি গ্রামে শিশু-কিশোররা তাদের নিজেদের উদ্যোগে তৈরি পাঠাগারে বই পড়ছে তা আমাকে অনেকটাই অবাক করেছে। আসলে এরকম গ্রামে পাঠাগারের কথা কল্পনাও করা যায় না। 

কথা বলে জানতে পারি, করোনাভাইরাস মহামারির সময় অবসর কাটানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কিছু শিক্ষার্থী ও একজন স্কুল শিক্ষক নিজেদের বইগুলো অদল-বদল করে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে তা একটি ছোট্ট পাঠাগারে পরিণত হয়। এলাকার ছোট শিশু থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এখন এখানে আসে বই পড়তে।

পাঠাগারটিতে প্রায় দেড়শ টির মতো বই রয়েছে। যেগুলো তাদের নিজের হাতেই সংগ্রহ করা। বইগুলো রাখা হয়েছে ছোট একটা তাকে।

আমি তাকের কাছে গিয়ে দেখি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বেগম রোকেয়াসহ আরো অনেক লেখকের বই রয়েছে। এছাড়া সেখানে ছোটদের জন্য গল্প ও কৌতুকের বই রয়েছে। 

পাঠাগারটি নিয়ে শিশু-কিশোররাও বেশ খুশি। আমি তাদের অনুভূতিটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। কয়েকজনের সঙ্গে কথাও হলো। তারা প্রত্যেকেই বেশ খুশি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com