বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ও আমার জন্মদিন হলো একই সঙ্গে

২৩ অক্টোবর দিনটি আমার কাছে বিশেষ। এর বিশেষত্ব এখন আমার কাছে অনেক বেশি। এদিন আমার জন্মদিন। একইসঙ্গে আমার প্রিয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিষ্ঠবার্ষিকী, অর্থাৎ বাংলাদেশের সংবাদ সেবা ইন্টারনেট যুগে পৌঁছানোর দিন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ও আমার জন্মদিন হলো একই সঙ্গে

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পূর্ণ করল ১৫ বছর, আর পূর্ণ হলো ১২ বছর। আর এই জন্মদিনটা একটু বেশিই আলাদাভাবে এল আমার জীবনে।

বাসায় নিজের জন্মদিনের আয়োজন ফেলে ছুটলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শুভেচ্ছা জানাতে। মায়ের সাথে যাই আমি আর ছোট বোন যাই মহাখালীর প্রধান কার্যালয়ে। 

গিয়ে দেখলাম অনেক মানুষের আনাগোনা। সবাই বিডিনিউজের লোগোর সাথে মিল রেখে লাল ও সাদা রঙের পোশাক পরে এসেছে। শুধু তাই নয়, বার্তাকক্ষ সহ পুরো কার্যালয় সাজানো হয়েছে লাল সাদা থিমে। এ যেন অন্য এক স্বর্গ রাজ্য। যে সংবাদ কক্ষে ঘটে যাচ্ছে দেশের বড় বড় সংবাদের ব্যবচ্ছেদ, তারই মাঝে বেলুন আর ফুল শুভ্রতা ছড়াচ্ছে। দুটি বিষয় আমার কাছে বিপরীতমুখী মনে হয়েছে।

ছবি তোলা আর খাওয়া দাওয়ার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী ভাই উপস্থিত হলেন। এসেই মিশে গেলেন শিশুদের সাথে। ছবি তুললেন আমাদের নিয়ে, কেকের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং হ্যালোর শিশু সাংবাদিকদের নিলেন তার দুই পাশে।

বিডিনিউজের শুরু, চলতি পথে চড়াই-উৎরাইয়ের গল্পগুলো শুনছিলাম। কোনো বক্তৃতা নয়, আড্ডার মতো করে তিনি বলছিলেন আমাদের। 

তিনি বলেন, “এই ১৫ বছর আসলে আমাদের মোটামুটি দীর্ঘ এক আনন্দ-বেদনার কাব্য। এই সময়ে আনন্দ ছিল, উৎসব ছিল, বিজয় ছিল। সেই সাথে আঘাত ছিল, আক্রমণ ছিল। আমরা অন্যায়ের শিকার হয়েছি। প্রতিবাদ করেছি। প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি।

“বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিজয়ী হয়েছি। সেটা আমাদেরকে আরও শক্তিশালী করেছে। মনোবল বাড়িয়েছে।”

তিনি এও বলেন,  “অন্ধকার আসবে, আমরা আলো জ্বেলে দেব।”

তারপর যে মুহুর্তটি এল তা আমি কখনো ভাবিনি। হ্যালোর ভাইয়া আপুরা তৌফিক ভাইকে আমার জন্মদিনের কথা জানালেন। শুনেই তিনি স্নেহভরে আমাকে সঙ্গে নিলেন কেক কাটতে। অনেকের মতো আমাকেও আমার নামের অক্ষর তুলে দিলেন। 

এরপর তিনি আমার কাছে জানতে চান, বড় হয়েও বিডিনিউজে কাজ করব কিনা। আনন্দে আমি কথা বলতে পারছিলাম না। শুধু মাথা নাড়লাম। আর মনে মনে উড়াল দিলাম ফুলস্টপহীন নীল আকাশে। 

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আমাকে কথা বলার সুযোগ দিয়েছে, আমার প্রতিভা বিকাশের প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে, এবার আমাকে নিয়ে কেকও কেটেছে। কোনোদিন ভুলে যাওয়া সম্ভব হবে কিনা আমি জানি না! আমি আজীবন ভালোবেসে যেতে চাই। পনেরোর সাথে আরও অনেক শূন্য বসুক, আমার নিরন্তর শুভ কামনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com