আমার দুর্গাপূজা

আমার দুর্গাপূজা

এ বছর আমার নবমী কেটেছে পিরোজপুরের রাজমন্দিরে।

আমি যতটুকু জানি, দক্ষিণ বাংলার সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় এই মন্দিরে। প্রতি বছর অনেক প্রতিমা তৈরি করা হলেও মহামারি পরিস্থিতির জন্য এ বছর এখানে একটিই বড় প্রতিমা করা হয়।

পূজার সময় সেখানে এটাও ঘোষণা করা হয় যে, মহামারি পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে আগামী বছর এখানে পাঁচশ একটি প্রতিমা নির্মাণ করা হবে।

আমরা সকালে সেখানে উপস্থিত হই। এখানে আমি দুর্গা প্রতিমার পাশাপাশি একটি রাধাকৃষ্ণ এবং একটি কালীর বিগ্রহ দেখেছি। পূজা প্যান্ডেলের

সামনে মাঠে বসে মেলা। সেখানে ছিল নানা সামগ্রীর দোকান। অনেক মানুষের সমাগম হয়েছিল এখানে।

আমিও মেলা থেকে আমার পছন্দরের কিছু জিনিস কিনেছি। মন্দিরের ঠিক পাশেই একটি দোকানে বিক্রি হচ্ছিল ধূপকাঠি, মোমবাতি। সেখান থেকে মোমবাতি কিনে মাকে অর্পণ করি। অনেক ভক্ত নিজের কল্যাণ কামনায় মোমবাতি এবং ধূপকাঠি জ্বালিয়েছেন এখানে।

সকালে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মায়ের অঞ্জলি। মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিয়ে আমরাও প্রসাদ গ্রহণ করি। সেখানে অনেক মজা করেছি, অনেক ছবিও তুলেছি। আমরা মন্দির প্রাঙ্গণে কিছু সময় ঢাকের বাজনা উপভোগ করি।

মন্দিরে বেশ আনন্দ বিরাজ করছিল। অসহায় মানুষদের সেখানে বস্ত্র এবং অর্থও প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, গরীব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ওষুধও দেওয়া হয়েছে।

বিকাল বেলা সেখানে পিরোজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মী মণ্ডপ পরিদর্শনে এসেছিলেন।

মণ্ডপের নিরাপত্তায় ছয় জন পুলিশ এবং তিন জন আনসার সদস্য ছিল। সন্ধ্যায় খুলনা এবং বরিশাল থেকে আসেন সঙ্গীত শিল্পীরা। এরপর তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমরা সেই আয়োজন উপভোগ করেছি। সব মিলিয়ে এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।

Related Stories

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com