রাজধানীর শংকরের এক বস্তিতে পাশাপাশি থাকে তারা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তারা বেলুন বিক্রি করে। যে টাকা আয় হয় তার একটা অংশ খরচ করে কিছু কিনে খায়। অনেক সময় অন্যের দেওয়া খাবারই খেয়ে নেয়। আর আয়ের বাকি টাকা তুলে দেয় মা-বাবার হাতে।
স্কুলের নাম বলতে না পারলেও টুনি আর রতন জানায় ভোরে তারা কিছু সময়ের জন্য একটা স্কুলে যায়। কিন্তু তারপরই ছুটতে হয় টাকা উপার্জনের জন্য। কিন্তু মরিয়ম স্কুলে যেতে পারে না। মা কাজ করে আর শ্রমিক বাবাও ভোরে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। তাই সংসারেরও কিছু কাজ শেষ করে তাকে বেলুন বিক্রির কাজে যেতে হয়। স্কুলে যেতে না পারলেও তার ইচ্ছা হয় চিকিৎসক হওয়ার।
টুনি বেলুন বিক্রি করলেও এই কাজ তার ভালো লাগে না। সে বড় হয়ে পুলিশ হতে চায়।
তাদের ভালো জামা, জুতা পরতে ইচ্ছে করে। নানান কিছু খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ইচ্ছাগুলো ইচ্ছাই থেকে যায়।