কাজী নজরুল ইসলামের সংকল্প কবিতার মতোই নিজেকে ভাবতে পছন্দ করি আমি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখি আকাশ ছোঁয়ার। অনেক বড় হব আমি, দু’চোখ মেলে পুরো বিশ্বকে দেখব।
নার্সারি শ্রেণিতে পড়ার সময় মা আমাকে ভর্তি করে দেন একটি বেসরকারি চিত্রাঙ্কন স্কুলে। গুটি গুটি হাতে সেই রঙ-পেন্সিলে ইচ্ছেমতো আঁকিবুকি করতাম। এটি যে আমার খুব প্রিয় কাজগুলোর একটি তা বুঝতে পারতাম না।
এদিকে পড়াশোনার চাপ তো আছেই। তবুও আমার আঁকাআকি বন্ধ হয়নি। মা আবার ভর্তি করে দিলেন আবৃত্তি শিখতে। একদিকে স্কুলে ভালো ফলাফল করতে হবে, অন্যদিকে আবৃত্তি, অঙ্কন নিয়ে আমি একটু চাপে পড়ে গেলাম। কিন্তু এগুলো আবার আমার ভালো লাগার বিষয়।
শুধুমাত্র পড়াশোনা নিয়েই পড়ে থাকার মানুষ আমি নই। প্রথমেই বলছিলাম, আমি জগৎটাকে দেখতে চাই। তাই মন থেকে আবৃত্তি-অঙ্কনকে ভালোবেসেই ফেলেছিলাম।
মহামারি যখন আমাদের অবসরকে কেবলই দীর্ঘ করছিল তখন আমি এর মর্মার্থ ভালো করে বুঝতে পারি। আমার সঙ্গী হয়ে পাশে দাঁড়ায় পড়াশোনা, আবৃত্তি আর ছবি আঁকা। মহামারি মনে যে ভয় আর আতঙ্ক ঢুকিয়ে দিয়েছিল, সেই পরিস্থিতি থেকে উৎরে যেতে সাহায্য করেছে।
আর লেখালেখিতে নতুন আমি। মহামারির সময়টাতে এক সহপাঠী বন্ধুকে আমার লেখা একটি গল্প পাঠিয়ে দিই। সে অনেক প্রশংসা করেছে, যেটিকে আমি অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছি।
স্কুলেও অনেকেই আমার লেখনীর প্রশংসা করে। আমি যে সাহিত্য ভালোবাসি এটা সবাইকে বোঝাতেও সক্ষম হয়েছি। আমার ভালো লাগার তালিকায় এখন লেখালেখিও যুক্ত হয়েছে। আমি আরও অনেক কিছু করতে চাই। আমি আসলেই বিশ্বকে নানাভাবে উদঘাটন করতে চাই।