এটাও জানি প্রতিনিয়ত আমরা কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি এবং নির্মল অক্সিজেন গ্রহণ করছি। আর এই অক্সিজেনের উৎস এবং আমাদের বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করছে গাছপালা। বলার অপেক্ষা রাখে না এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া।
আমরা গাছপালার ওপর নির্ভর করেই বেঁচে আছি। খাদ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি পর্যন্ত অনেক কিছুই আমরা গাছপালা থেকে সংগ্রহ করি। কিন্তু আমরা অনেকেই আজ গাছপালা নিধন করছি। নতুন বৃক্ষ রোপণেও নেই সবার আগ্রহ।
বনভূমি উজাড় করে নগরায়ন করছি আমরা। কিন্তু এই নগরের মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার উপাদান নিয়ে বিন্দু মাত্র ভাবনা নেই আমাদের।
বইয়ে পড়েছি, গাছপালা ধ্বংসের জন্য ওজন স্তর ক্ষয় হচ্ছে, যার কারণে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি পৃথিবীতে প্রবেশ করছে।
এর ফলে বিশ্ব উষ্ণায়ণ বাড়ছে। মহাসাগরগুলোর বরফ গলে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গিয়ে তলিয়ে যাবে অনেক অঞ্চল।
আমাদের দেশে বনভূমির পরিমাণ আন্তর্জাতিক লক্ষ্যমাত্রার মাপকাঠিতে খুবই কম। এদিকে বাড়ছে জনসংখ্যা। জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবে যে পিষ্ট হব আমরা তা সহজেই অনুমেয়।
অথচ বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকাই উর্বর। গাছপালা জন্মায় খুব সহজেই। নাতিশীতোষ্ণের এই দেশটি বনভূমিতে ভরে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু তা আর হচ্ছে কোথায়!
সরকার বা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বৃক্ষরোপণ করলেও সঠিক পরিচর্যার অভাবে তা আর সুফল বয়ে আনছে না। ব্যক্তি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণের উদাসীনতা তো আছেই।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশ্ব নেতারা উদ্বিগ্ন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বাৎসরিক সম্মেলনে নিয়মিতই যোগ দিতে জাতিসংঘে যাচ্ছেন। নিকটবর্তী এই বিপদ কাটাতে সজাগ হতে হবে আমাদের সকলকেই। বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। বৃক্ষরোপণই বদলে দিতে পারে এই পৃথিবী।