জীবনের প্রত্যেকটি ধাপেই শৈশবের স্মৃতি মাখা সোনালী দিনগুলো বারবার মনে পড়ে। স্মৃতি মাখা প্রত্যেকটি ঘটনা বাকি সমগ্র জীবনের ওপর প্রবল ভাবে ছায়া ফেলে। প্রায় সকল মানুষ শৈশবে ফিরে যাওয়ার জন্য আকুতি করেন।
এখনকার শৈশব দেখে অনেকেই আতঙ্কিত হন। শৈশবকে গিলে খাচ্ছে তথাকথিত আধুনিকতা ও স্ক্রিন বন্দি বিনোদন।
আশে পাশে অনেক শিশুকেই দেখি দিনভর ব্যস্ততা মোবাইল ফোন ঘিরে। অনেক অভিভাবক আবার এটাকে ইতিবাচক ভাবেও নেন। সন্তান বাইরে কোনো খারাপ কিছু করছে না বা শিখছে না বলে ধারণা তাদের।
আমার দাদু, নানু কিংবা বাবা চাচাদের সাথে কথা বলে তাদের শৈশব সম্পর্কে জানলে অবাকই হতে হয়। কত আনন্দময় আর শিক্ষনীয় ছিল ওই দিনগুলো। সকালে পড়তে বসা, বিকেল হলেই কানামাছি, গোল্লাছুট কিংবা ঘুড়ি উড়ানোর খেলায় হারিয়ে যেতেন তারা। হৈ হুল্লোড়, বন্ধুত্ব আর আনন্দের কোনো কমতি ছিল না ।
বর্তমানের শৈশব আনন্দের মাঝে কোন সজীবতা নেই। বন্ধুদের সাথে একসাথে হই হুল্লোড় করে খেলার আনন্দ থেকে বঞ্চিত যেন তারা।
সব জায়গায় পর্যাপ্ত মাঠও নেই, শিশুবান্ধব পার্ক নেই, থাকলেও তা অপরিচ্ছন্ন বা শিশুদের উপযুক্ত পরিবেশের বাইরে। এখনকার শিশুদের কাছে আগেকার সেই সোনালী শৈশব শুধুই স্বপ্ন।