দারিদ্র্যের কষ্ট যদি সবাই বুঝত

দিনের শেষে পাখিরাও ফিরে যায় বাসায়। কিন্তু ফেরে না কিছু মানুষ, যাদের জানা নেই নিজের গন্তব্য! 
দারিদ্র্যের কষ্ট যদি সবাই বুঝত

সূর্য ডুবে যেখানে সেখানেই তাদের দিন শেষ হয়, আর সেটাই তাদের গন্তব্য। রাস্তার পাশে, রেল স্টেশনে কিংবা ফুটওভার ব্রিজেই ঘুমিয়ে যেতে পারে তারা। 

একটু খাবারের আশায় সারাদিন দ্বারে দ্বারে ঘুরে যা রোজগার হয় সেটা দিয়েই মেটাতে হয় ক্ষুধা। এমন অনেককেই দেখেছি সামান্য রুটি আর কলা খেয়েই দিন পার করে দিতে পারেন। কখনো ক্ষুধায় পানি খেয়েও থাকেন।

এই মানুষগুলো জীবন নিয়ে ভাবতে গিয়ে অবাক হয়েছি আমি। বাস্তবতা কত কঠিন হতে পারে! ক্ষুধা মুক্ত দেশ গড়ার কথা বলে সরকার। এটা সত্যি যে অনাহারী মানুষের সংখ্যা এখন আগের মতো নাই। তিন বেলা না হোক, অন্তত দুবেলা খেতে পারার যোগ্যতা, সামর্থ্য তৈরি হয়েছে অনেক মানুষেরই। তবে পথে পথে যারা ঘোরে আমি তাদের কথা বলছি। তাদের জন্য কষ্ট হয় আমার।

আমার মনে হয় এই মানুষগুলোর জীবনে কোনো উৎসবও আসে না। ঈদ কিংবা পূজার আনন্দ তাদের ছুঁয়ে যায় না। উৎসবের দিনও হাত পেতে অপেক্ষা করতে হয়। 

আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা এই মানুষদের ঘৃণা করে, অবজ্ঞা করে, বাজে ব্যবহার করে দূরে ঠেলে দেয়। আমরা তাদের সাহায্য করতে না চাইলে তাদের সাথে অন্তত খারাপ ব্যবহার করা অনুচিত। তাদের ক্ষতবিক্ষত মন এতে আরও বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

সরকার থেকেও বিভিন্ন অনুদান আসে হতদরিদ্র মানুষের জন্য কিন্তু তারা সেটা পুরোটা পায় না বলেই আমার মনে হয়।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com