স্কুল জীবন আমার আশীর্বাদ

আমার মনে হয় প্রকৃতির সবচেয়ে বড় রহস্যময় জিনিসটি হলো সময়।
স্কুল জীবন আমার আশীর্বাদ

অবিরাম ছুটে চলা সময়ের দাবিতেই প্রথম পা রেখেছিলাম স্কুল জীবনে। সুশৃঙ্খল রাজ্যের মতো সুনির্দিষ্ট নিয়মের কারণেই মধুর হয়ে ওঠে আমার স্কুল জীবন। খুব আগ্রহ নিয়েই দুই বোন একসাথে শুরু করেছিলাম স্কুল। 

আমার কোনো ভয় ছিল না, ছিল একরাশ উত্তেজনা। আর মিশুক বন্ধুদের কল্যাণে সময়ের সাথে তা রূপ নিল পরম ভালোবাসায়। সে সময়ের সব ঘটনাই ছিল আকর্ষণীয়। তারমধ্যে একটি ছিল বৃত্তি কোচিং। বেসরকারি বৃত্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে পরীক্ষার্থীদের জন্য ছিল আলাদা কোচিং ব্যবস্থা। কোচিং চলাকালীন টিফিন ভাগাভাগি, খেলাধুলা, মারামারি সবকিছুর তো আনন্দ তো ছিলোই।

পড়াশোনা নিয়ে প্রতিযোগিতারও আনন্দ ছিল অভাবনীয়।আমাদের বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান স্যার এত মজার ছিলেন যে, বাসায় বকা খেয়ে আসা শিক্ষার্থীও হাসতে বাধ্য হতো তার সামনে। তার নিত্যনতুন ব্যায়ামও খুব উপভোগ্য ছিল। 

আমার আরেক পছন্দের শিক্ষক ছিলেন লাভলু স্যার। তার সবকিছুই এত ভালো লাগত যে ভবিষ্যতে শিক্ষক হওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তারপর সময়ের দাবিতেই ছেড়ে চলে আসতে হয় সেই প্রতিষ্ঠানটিকে।  

প্রাথমিক পর্যায় শেষ করেই আনন্দের ফোয়ারা নিয়ে হাজির হয় মাধ্যমিক জীবন। আগের বন্ধুরা তো আছেই, সাথে বাড়তে থাকে নতুন বন্ধু-বান্ধবে। সেইসাথে যুক্ত হয় আরও সুখময়, স্মৃতিময় দিন। নিজেকে যেন নতুন করে নতুন ভাবে অনুভব করতে শুরু করি।

আমার মাধ্যমিক জীবনের প্রতিটি দিনই ছিল আগের দিনের থেকে আনন্দময়। সেই আনন্দের পূর্ণতা নিয়ে এল এসএসসি। সেই প্রতিটি দিনও মনে রাখার মত। এর মাঝেই চলে এল মহামারি। 

দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুলে পা রেখে জীবনের প্রথম স্কুলে আসার আনন্দ নতুনভাবে অনুভব করেছিলাম। দিনটি স্মৃতিময় রাখতেই হয়তো কাকতালীয়ভাবে ওই দিনই ছিল প্রিয় বন্ধুটার জন্মদিন। তবে আমরা একসাথে দুইজনের জন্মদিন পালন করেছি এবং সেটা ছিল ওদের জন্য সারপ্রাইজ। 

অনেক দিন পর একসাথে হওয়ার আনন্দ, স্যারদের পরিচিত কন্ঠের ভাষণ, পরীক্ষা নিয়ে তাদের স্নেহময় ও আন্তরিক নির্দেশনা আর জন্মদিনের আনন্দ যেন শরতের আকাশে রংধনু।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com