নির্ধারিত দিনে সকাল ৯ টার দিকে আমরা বের হয়ে পড়লাম ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদের উদ্দেশ্যে। ২০ মিনিট পরেই আমরা পৌঁছে যাই সেখানে।
মূলত দীর্ঘদিন পর ষাট গম্বুজ মসজিদ খুলে দেওয়ায় বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসি আমি। বাগেরহাট আমার বাসা হওয়ায় অনেকবারই যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আর আসা হয়ে উঠেনি।
পাঠান আমলে সর্বপ্রথম খানজাহান আলী আসেন এদেশে এবং ইসলাম প্রচার করেন। তার অন্যতম একটি অবদান হচ্ছে ষাট গম্বুজ মসজিদ। ইসলামী স্থাপত্য শিল্পের একটি নিদর্শন এটি। মসজিদটিতে মোট ৮১টি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদ এলাকায় রয়েছে জাদুঘরও।
এখানে খান জাহান আলীর ব্যবহৃত জিনিস পত্র দেখা যায়। তার পোষা কুমিরের চামড়া দিয়ে মমি বানানো রয়েছে। তাল, খেজুরের গাছে ঘেরা মসজিদটির সামনের দুপাশে রয়েছে দুটি শতবর্ষী রেইন ট্রি।
সম্প্রতি মসজিদটিকে সংস্কার করে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। মসজিদের চারপাশে এবং ভিতরে বাতি লাগানো হয়েছে। যা রাতের বেলায় মসজিদটিকে আরও শোভাবর্ধন করে। অনেক পর্যটক এখানে ঘুরতে আসে। কারণ ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করেছে।
সারাদিন কাটিয়ে বিকাল ৪টা নাগাদ আমরা রওনা হই বাসার উদ্দেশ্যে।