সেই দিনের আনন্দটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দীর্ঘ ১৮ মাস পর আমি স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাই। আমার প্রিয় স্কুলের পোশাকটি পরেও অন্যরকম অনুভূতি হয়েছে।
স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া বা অন্য কোনো কাজে গেলেও স্কুলের নির্ধারিত পোশাক পরে যাওয়া হতো না। তাই স্কুল ড্রেস পরতে পারাটাও আমার আনন্দটাকে দ্বিগুণ করেছে।
দীর্ঘদিন পরে আমি আমার বিদ্যালয়ে ক্লাস করলাম। আমার শ্রেণিকক্ষে বসতে পারি বন্ধুদের সঙ্গে। আমরা সবাই সামাজিক দুরত্ব মেনেই বসেছি। স্কুলে প্রবেশের আগে হাতে জীবাণুনাশক দেওয়া হয়েছে, পরিমাপ করা হয়েছে তাপমাত্রা।
এই দীর্ঘ সময় জুড়ে বাড়িতে থেকেছি। ক্লাস করেছি অনলাইনে। বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করার সুযোগটা যেন হারিয়ে ফেলছিলাম। সেই সময়টাতে দেখা হতো না আমার বন্ধুদের সাথে। দীর্ঘ এই ছুটির পর আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার আনন্দটা সত্যিই অনেক মজাদার।