শিশু সাংবাদিকতায় আমার দুই বছর

ছোটবেলা থেকেই সাংবাদিকতা করার ইচ্ছা ছিল আমার।
শিশু সাংবাদিকতায় আমার দুই বছর

২০১৭ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমাদের স্কুলে বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে একটি আয়োজন করা হয়। সেখানে সাংবাদিকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সেদিন আমি ওই অনুষ্ঠান নিয়ে নিজেই একটি প্রতিবেদন তৈরি করি, কিন্তু সেটি নিজের কাছেই থেকে যায়। কোথাও প্রকাশ করতে পারিনি। আমার একটা ধারণা ছিল, প্রকাশ করতে হয়ত আমাকে টাকা দিতে হবে। যদিও পরে এটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় আব্বু নতুন ফোন কিনে দিলে আমি সাংবাদিকতা বিষয়ে ইন্টারনেটে খোঁজ করতে শুরু করি। একদিন স্থানীয় এক অনলাইন নিউজ পোর্টালের সন্ধান পাই। বেশ সাহস করে তাদেরকে একটা মেইল করি যে, আমি শিশু সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতে চাই। কিন্তু কোথাও থেকে কোনো সাড়া পাইনি। এরপর আরেকটা সাপ্তাহিক পত্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমার একটি কবিতা প্রকাশ করে।

এরপর যা আমার সাথে ঘটেছিল তা অনেকটা কল্পনার মতো ছিল। একদিন ফেইসবুক স্ক্রলিং করতে গিয়ে আমার সামনে একটি পোস্ট আসে, শিশু সাংবাদিক হতে চাইলে আবেদন করো। আমি সব নিয়ম মেনে, সব তথ্য দেই। তারা আমাকে বিস্তারিত সব জানিয়ে দেয় এবং আমাকে স্বাগত জানায়। 

২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত আমার প্রথম প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল 'দুর্গাপুর-কলমাকান্দার বেহাল সড়ক'। এর মাধ্যমেই হ্যালোর সঙ্গে আমার যাত্রা শুরু।

একদিন আমাদের এখানকার একাত্তর টেলিভিশন প্রতিনিধি রাসেল ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছন। পরামর্শ দেওয়া, প্রতিবেদন করতে সাহায্য করা ইত্যাদি আরও কত কী। তিনি একদিন আমাকে হ্যালোতে আবেদন করার কথা বলেন। তিনি জানতেন না আমি যে ইতোমধ্যে হ্যালোতে আছি। তারপর রাসেল ভাইকে আমার প্রকাশিত প্রতিবেদনও দেখাই। তিনি অনেক উৎসাহ দিয়েছেন আমাকে। আমার এই ছোট্ট জীবনে সাংবাদিকতা যতটুকু শিখেছি তার বেশিরভাগ শিখিয়েছেন তিনি। 

আমার শিশু সাংবাদিকতা শুরু হয় হ্যালোর হাত ধরে। সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব হ্যালোর প্রতি। হ্যালোকে ধন্যবাদ আমার মতো শিশুদের সাংবাদিকতায় সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com