পরিবারের সবাই বললেন যে দেরি করা ঠিক হবে না। ছুটি যেহেতু পেয়েছি, সবাই মিলে একটা লম্বা সফরে গেলে মন্দ হয় না। তাই বেরিয়ে পড়লাম কুমিল্লার উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে উঠলাম আমাদের এক আত্মীয়ের বাসায়।
পৌঁছানোর পর সবাই খেয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম। বিকেলের দিকে আমার কিছু সমবয়সীদের সাথে বাইরে গেলাম। সেখানে খেললামও আমরা।
আমি খুবই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম ওদের জীবনধারা দেখে। মনে হচ্ছিল, এ যেন এক অন্য দেশের সংস্কৃতি। সবাই কী সুন্দর বড় মাঠে খেলছে।মাঠগুলো এতই বড় যে, তিন-চারটা এখানে কয়েকটা দল আলাদা আলাদা করে খেলছে। তখন থেকেই ভাবতে শুরু করি আমাদের শহরে কেন এমন জায়গা নেই। আমাদের জীবনটা কেমন যেন আবদ্ধ।
শুধু স্কুলে যাই, বাসায় আসি। আর অলস সময়টা তো ওই মোবাইল ফোনের পেছনেই চলে যায়। বন্ধুবান্ধবও খুব একটা নেই। সময়ই তো নেই আমাদের, বন্ধুত্ব আবার হবে কখন! সবাই বড্ড বেশি ব্যস্ত থাকে গেইম খেলা আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেছনে সময় ব্যয় করতে।
এদিকে গ্রামের শিশুদের জগৎটা যেন একটা স্বর্গ। আমার মন ছুঁয়ে গেছে তাদের অবসর কাটানো দেখে। শহুরে ছেলে-মেয়েরা তাদের থেকে এগিয়ে থাকলেও দিন শেষে আনন্দদায়ক জীবনযাপন গ্রামের শিশুরাই বেশি পাচ্ছে। এটা নিয়ে অনেক আফসোস হয় আমার, নিজেকে বঞ্চিতও মনে হয়।