ঘরবন্দি সময়টাতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। একঘেয়েমি কাটাতে খোলার প্রথম দিনেই মূলত ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেদিন অনেক মানুষ এসেছিল। সবাই যেন আমাদের মতোই একটু শান্তির নিশ্বাস নিতে বের হয়েছেন।
ভেতরে প্রবেশের সময় দর্শনার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করে জীবাণুনাশক দিয়ে স্যানিটাইজ করে দেওয়া হয়েছে। হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও ছিল। মাস্ক ছাড়া প্রবেশেও ছিল বাধা। মাস্ক না থাকলে তাদেরকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভেতরে প্রবেশ করে অনেকেই তা আর ব্যবহার করেনি। খাঁচার সামনে কিছু কিছু জটলাও ছিল।
অনেক শিশুকে ঘুরতে দেখেছি। পশু-পাখি দেখে এবং অনেকদিন পর খোলা জায়গায় ঘুরতে পেরে বেশ আনন্দিত মনে হলো তাদের।
একটু পরপরই নিরাপত্তাকর্মীরা এসে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানালেও কেউই তা কানে নিচ্ছিল না। সামান্য বৃষ্টি সবার আনন্দে একটু বিঘ্ন ঘটালেও সেটা স্থায়ী হয়নি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসের প্রথম রোববার দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারবেন।