এটি সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কের পাশে চন্ডীদাসগাতিতে অবস্থিত।
দুপুর গড়াতেই বন্ধুদের নিয়ে বের হয়ে পড়লাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য দুর্জয় বাংলা দেখতে। এই ভাস্কর্যের কথা অনেক শুনেছি, কিন্তু কখনোই দেখা হয়ে ওঠেনি।
বিকেল বিকেল আমরা গিয়ে পৌঁছালাম। জানা যায়, এটিই সিরাজগঞ্জের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ।
মুক্তিযুদ্ধের এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয় ১৯৯২ সালে। ২৮ ফুট উচ্চতার এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন ভাস্কর্য শিল্পী আমিনুল করিম দুলাল আর তার তিন সহযোগী। এই স্মৃতিস্তম্ভের বেদির উপরে পতাকা হাতে একজন নারী, মাছ ধরার টেঁটা হাতে একজন কিশোর এবং রাইফেল হাতে এক যুবক দাঁড়িয়ে আছে। এ যেন মুক্তিযুদ্ধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের যুদ্ধ করার সম্মিলিত প্রয়াসের চিত্র।
আর বেদির নিচে দিকে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সরকারের তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত কয়েকটি পোস্টারের প্রতিচ্ছবি এবং বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ওপর কয়েকটি পোস্টারের প্রতিচ্ছবি।
আমারা এই স্মৃতিস্তম্ভ সম্পর্কে জানতে কথা বললাম স্থানীয়দের সাথে।
রুহুল আমীন নামের এক ব্যক্তি বললেন, “বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আপামর জনসাধারণ অস্ত্র ছাড়াও যার যা ছিল তাই নিয়ে যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তা এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম এই ভার্স্কর্য থেকে তেমনই একটা বার্তা পাবে।”
দুর্জয় বাংলা দেখে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের চিত্র সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিজেদের মধ্যে ধারণ করার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এই স্মৃতিস্তম্ভটি।