পড়াশোনা, পত্রিকা পড়া কিংবা যে কোনো বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য এখন সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে হয় ইন্টারনেটের উপরই। কোনো কাজ করার নতুন উপায় জানার জন্যও ইন্টারনেটের বিকল্প নেই। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে ইন্টারনেট হতে পারে বড় সহায়ক।
অনেকের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ আছে। তারা অনলাইনেই এ সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে পারে। অনলাইন গেইম না খেলে ভালো কিছু শিখতে পারি অনায়াসেই। চাইলেই সময়গুলোকে অসাধারণ করে তুলতে পারি।
কিন্তু এখন অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ কাজের বাইরেও ইন্টারনেটের ব্যবহার করছেন মাত্রাতিরিক্তভাবে। এর ফলে নানা রকম শারীরিক ও মানসিক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।
তাই সময় কাটাতে বা নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ব্রাউজিংয়ের পাশাপাশি আরো অনেক কিছু করতে পারি।
সময় কাটানোর অনেক উৎকৃষ্ট উপায় আছে। অবসর কাটনোর মাধ্যম হিসেবে সেই উপায়গুলো আমার বেশ ভালো লাগে।
আমার মনে হয় বই পড়া সময় কাটানোর অন্যতম উপায়। মহামারি শুরুর আগে আমাদের স্কুল, কোচিং, গৃহশিক্ষকের কাছে পড়া ইত্যাদি নানাভাবেই সময় চলে যেত। এখন বলা যায় আমাদের হাতে অফুরন্ত সময়। বিখ্যাত বইগুলো অন্তত আমরা পড়ে ফেলতে পারি এই সময়টাতে।
সৃজনশীল কাজগুলোর মধ্যে আছে ছবি আঁকা, গান, নাচ, লেখালেখি করা। এগুলোতেও হাত পাকিয়ে নিতে পারি আমরা। আমি লিখতে পছন্দ করি, তাই লেখালেখি করি। লেখালেখিতে ভালো করতে পড়তে হয় অনেক। সংবাদপত্র, বই পড়লে লেখালেখিতে দক্ষ হওয়া যায়।
শিশুদের যেহেতু সব গণমাধ্যমে লেখার সুযোগ নেই বা কোনো গণমাধ্যম যত্ন সহকারে শিশুদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে না সেখানে হ্যালোই আমার প্রথম পছন্দ। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে দীর্ঘ এই অবসরে হ্যালোতে লিখছি আমি।
তাই এই সময়টাতে এমন কিছুই করা উচিত যেটা আমাদের দক্ষ করবে, মেধাকে সমৃদ্ধ করবে।