শিক্ষক যে শিক্ষার্থীদের বন্ধু হতে পারেন তা ভাবলে আগে অবাক হতাম। মনে হতো যিনি শিক্ষক তিনিই আবার বন্ধু কীভাবে হতে পারেন? কিন্তু এখন আর অবাক হই না। এ রকম শত শত উদাহরণ আমি হ্যালোতেই পড়েছি। আর এখন আমারও এমন একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি আমার অনেক ভালো বন্ধু।
আমার প্রিয় শিক্ষকের নাম ইয়ামিন হোসেন। তিনি আমাদের স্কুলের আইসিটি শিক্ষক। তার মাধ্যমে আমি নিজেকে অনেক উন্নত করতে পেরেছি। এক সময় আমি সবার সামনে কথা বলতে পারতাম না, তিনিই আমাকে সবার সামনে নিয়ে এসে ইংরেজিতে কথা বলিয়েছেন। যার ফলে আমার ভীতি দূর হয়ে গেছে। এখন আমি জড়তা কাটিয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনেও কথা বলতে পারি। বিতর্কে উপজেলা এবং জেলায় চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি।
হ্যালোতে লেখালেখির সুযোগ তার মাধ্যমেই হয়েছে। তিনিই আমাকে নিবন্ধন করিয়ে হ্যালোর কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেন।
এটুআই কর্তৃক 'জেলা আমার অহংকার' প্রতিযোগিতায় কিশোর বাতায়নে জেলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করি আমি তার মাধ্যমেই।
বিজ্ঞান মেলাসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছি। এর পেছনেও বিশাল একটা ভূমিকা রয়েছে তার। এছাড়া বিভিন্ন দিক থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি স্যারের কাছ থেকে। মাঝে মধ্যেই তিনি আমাকে ফোন দিয়ে পড়াশোনার খোঁজ নেন। শুধু তাই নয়, নানা সৃজনশীল কাজে অংশ নেওয়ার তাগিদ দেন।
আমার প্রিয় শিক্ষক আমাদের নিয়ে একটা দল গড়ে তুলেছেন। তিনি আমাদের সবাইকে আপন মনে করেন। তিনি সব সময় বলেন, তুমি তোমার মেধা দিয়ে কাজ করে যাও সফলতা আসবেই। স্যারের সাথে পথ চলতে চলতে এখন আমাদের খুব ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
স্যার আমাদেরকে তার বাসায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যান। একজন শিক্ষকের সাথে কত ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলে এটি হতে পারে?
তার দেওয়া সকল আদেশ, উপদেশ, নিষেধ মেনে চলার চেষ্টা করি সব সময়। আমি মনে করি আমার শিক্ষক পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। একজন দক্ষ মানুষ গড়ার কারিগর তিনি।