আমাদের বাড়ির কাছে এক বয়স্ক নারী এসে কাঁদছিলেন। উনার কাছে গিয়ে দেখি অনেকেই ভীড় করেছে সেখানে। সবাই তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞেস করছিল কিন্তু তিনি তখনো সঠিক ভাবে বলতে পারছিলেন না। কখনো বলছেন বরিশাল, কখনো রংপুর।
আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল তার কান্না দেখে। তাকে আমি খাবার এনে দেই। প্রথমে মানা করলেও, পরে খেয়ে নেন তিনি। খাওয়ার সময়ও কাঁদছিলেন অঝোরে।
খাওয়া শেষ হলে আমি পুলিশকে জানাই বিষয়টি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার জিম্মায় রাখতে বলেন ওই নারীকে। এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে তিনি ঘটনা জানাচ্ছেন বলেও আমাকে জানান।
এদিকে এলাকার মানুষ নানা কথা বলছিল আমাকে। অল্প বয়সে আমি জ্যাঠামি করছি আরও কত কথা। মায়ের কাছে আমার নামে নালিশও করেছে।
আমার এক প্রতিবেশি দাদী বললেন উনাকে আপাতত তার বাড়ি নিয়ে যেতে। ওখানে গিয়ে একটু বিশ্রাম নেওয়ার পর তিনি সঠিক ভাবে কথা বলতে পারছিলেন। তিনি জানান, মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে হঠাৎ শরীর খারাপ করলে তিনি দিক ভুলে যান। এরপর চলে আসেন আমাদের এলাকায়।
উনার খবর সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই দেখতে আসছিলেন তাকে। এর মধ্যে একজন উনাকে চিনতে পারেন। তারপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমি যোগাযোগ করে উনার ছেলেকে পাই। কিছুক্ষণ পর এসে তিনি তার মাকে নিয়ে যান।
যাওয়ার সময় ওই বৃদ্ধা আমাকে আশীর্বাদ করেন। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আমাকে কল দিয়ে জানতে চান বিষয়টা। আমি তাকে সবকিছু খুলে বলি। উনি আমার কাজে খুব খুশি হন।