শিশুশ্রমের শেষ কোথায়?

শিশুশ্রমের আলোচনা থেকে কোনোভাবেই বের হতে পারি না আমরা, কারণ এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠা এখনো সম্ভব হয়নি আমাদের।
শিশুশ্রমের শেষ কোথায়?

আমাদের দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অনেক শিশুই শিশুশ্রমের সাথের জড়িত। এতে করে তাদের এক ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকারও হতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় সাম্প্রতিক একটি ঘটনা শিশুশ্রমের বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

বলছি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় আগুন লেগে একাধিক শিশু শ্রমজীবীর মৃত্যুর ঘটনা। সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম এ ঘটনায় অর্ধশতাধিকের বেশি মানুষের প্রাণহানির হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এর মধ্যে অন্তত ১৬ জনই শিশু।

কাজ করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হলো দেশের ভবিষ্যতকে। যারা কিনা একটু সুবিধা পেলেই গড়ে নিতে পারত নিজের জীবনকে একই সঙ্গে দেশকে। 

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ শিশু স্কুল থেকে ঝরে যাবে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইউনিসেফের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লাখ লাখ শিশুকে শ্রমের দিকে ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করা হয়েছে, যা গত ২০ বছরের অগ্রগতির পর প্রথম শিশুশ্রম বাড়িয়ে দিতে পারে।

ইউনিসেফের একটি গবেষণা বলছে, এই দশক শেষ হওয়ার আগে অতিরিক্ত এক কোটি শিশুবিয়ে ঘটতে পারে, যা এ ধরনের ঘটনা কমাতে সাম্প্রতিক অনেক বছরের অগ্রগতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

এই শিশুশ্রমের শেষ কোথায় আমরা জানি না। শিশুদের সুন্দর করে বাঁচার ব্যবস্থা করতে হবে রাষ্ট্রকে। এই শিশুরা তো দেশকেই প্রতিনিধিত্ব করে। তারাই তো ধরবে দেশের হাল।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com