সমুদ্রের সঙ্গে চারদিন
ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে। তাই না?
মা জানালেন, আমরা সেখানে চারদিনের জন্য যাচ্ছি। সে অনুযায়ী যেন আমি ব্যাগ গুছিয়ে নেই। জামা কাপড় যা যা প্রয়োজন তা নিয়ে নেই। সন্ধ্যা হলো, বাবা অফিস থেকে বাড়ি আসলেন।
বাবা বাড়ি ফেরার তিন ঘণ্টা পরই রওনা হলাম আমরা। নির্ধারিত সময়ে সবাই মিলে পৌঁছে যাই বাস স্ট্যান্ডে। বাসও এল সঠিক সময়ে।
বাসে উঠার পর বাবা বললেন, “তুমি ঘুমিয়ে যাও। আমরাও ঘুমাব। ঘুম থেকে উঠেই তুমি দেখবে আমরা কক্সবাজার চলে এসেছি।”
বাবার কথা মতো ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে জেগে মনে হচ্ছিল আমরা সম্ভবত চলে এসেছি। পরে দেখি আমরা আসলেই চলে এসেছি।
হোটেলে পৌঁছানোর পর থেকে কখন সৈকতে নামব তার অপেক্ষা করেছিলাম। অপেক্ষা যেন আর সইছিল না। দূর থেকে দেখতে পাচ্ছিলাম বিশাল জলরাশি। এতদিন যা টিভিতে দেখেছি আর বইতে পড়েছি তা এবার সামনাসামনি দেখছি।
মা বললেন, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। এই পানিতে লবণ মেশানো থাকে। এদিন আমরা খুবই মজা করি। এত বড় সৈকতে এসেছি তার আনন্দ তো সীমাহীন।
দ্বিতীয় দিন আমরা গেলাম দরিয়ানগর নামে আরেকটি পয়েন্টে। সেখানে গিয়ে আমরা সিঁড়ি দিয়ে পাহাড়ের উপর উঠলাম। সমুদ্রও আছে, পাহাড়ও আছে কী যে মজা হচ্ছিল। পাহাড়ে চড়ার অভিজ্ঞতাও হয়ে গেল।
তৃতীয় দিন আমরা যাই ইনানী সমুদ্র সৈকতে। সেখানেও বেশ মজা হয়। সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় নাকি ইনানী সৈকত। দেখেও মনটা জুড়িয়ে যায়। সব কিছু ছবির মতো সুন্দর।
চতুর্থ দিনে আমরা বার্মিজ মার্কেট গিয়েছিলাম। সেখান থেকে একটু কেনাকাটা করা হলো।
এরপর দিন আমরা বাড়ি ফিরে আসি। কক্সবাজারে প্রতিটা দিনই ছিল আমার জন্য খুব বেশি উপভোগ্য।