যদিও সময়ের সাথে সাথে কিছুটা মানিয়ে উঠছি বর্তমান পরিস্থিতির সাথে। অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থেকে নিজেদের সময়কে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। অনেকের স্কুলও চলছে অনলাইনে। ক্লাস, পরীক্ষা সবই হচ্ছে।
দেড় বছর আগেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন খোলা ছিল তখন পাঠ্যবইয়ে পড়তাম ২০ থেকে ৩০ বছর পর বদলে যাবে আমাদের শিক্ষাপদ্ধতি। আমূল পরিবর্তন হয়ে অনেক কিছুই হবে অনলাইন ভিত্তিক। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পড়বে, পরীক্ষা দেবে এবং ফলাফল সাথে সাথেই পেয়ে যাবে। তখন আমি ভাবতাম কত সুবিধা হবে অনলাইনে পড়তে পারলে।
অপেক্ষায় ছিলাম অনলাইনে পাঠদান কেমন হয় তা দেখার জন্য। ভাবতাম প্রত্যেকের হাতে থাকবে মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ। কত ভালো হবে। প্রশ্ন ছিল, কীভাবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক গ্রহণ করবেন এই নতুন শিক্ষা পদ্ধতি।
সব জল্পনা-কল্পনা শেষ করে আমরা পরিচিত হয়ে গেলাম সেই অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে। এখন সবাই ভাবছে ঠিক কীভাবে এই শিক্ষাপদ্ধতি চালু রাখলে এর সুফল শতভাগ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে।
তবুও আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্লান্ত। আমি অধীর আগ্রহে বসে আছি স্কুল খোলার অপেক্ষায়। কবে আবার সবাই ফিরব নিজ নিজ বিদ্যালয়ে?