ইন্টারনেট যখন বন্ধু

বর্তমান বিশ্বে এখন বড় শত্রু বোধ হয় একটাই, সেটা হলো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।
ইন্টারনেট যখন বন্ধু

এটা শুধু শারীরিকভাবে সুস্থ্ মানুষকে অসুস্থ করে দিচ্ছে তা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে। মনটা দেখা যায় না বলে বরাবরই তো আমরা একে গুরুত্ব দিতে চাই না। মনের রোগের চিকিৎসাও করাতে চাই না, সতর্কও থাকতে চাই না।

এটা এখন আমরা সকলেই জানি, একজন শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিহার্য। সহপাঠীদের সঙ্গে একত্রে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে অংশ নেওয়া, আড্ডা, দুষ্টুমি, খেলাধুলা শিশুদের বিকাশে সাহায্য করে। আমাদের মনকেও ভালো রাখে বিদ্যালয়। নিয়মিত বন্ধু-শিক্ষকদের সাথে কথা হয়, পড়াশোনার ব্যস্ততা কতকিছু।

প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল এইসব কিছু থেকেই আমরা বঞ্চিত।

এমন পরিস্থিতিতে পড়াশোনার ক্ষতি যে হয়েছে এবং হচ্ছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আশঙ্কা আছে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ারও। তবুও অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনলাইনে পাঠদান আমাদের জন্য যেমন নতুন এক অভিজ্ঞতা, তেমনই অনেক শিক্ষকের জন্যও নতুন। তাই আমাদের উচিত শিক্ষকদের সাহায্য করা।

আমরা অনেকেই মোবাইল ফোনে কিংবা কম্পিউটারে গেম খেলি অথবা বিনোদনমূলক ভিডিও দেখি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও তো আমাদের আনাগোনা আছে। মহামারির এই অবসরে এটা আরও বেড়েছে। এত এত অবসর আমরা অনেকেই হেলায় ফেলায় কাটিয়ে দিচ্ছি। অথচ চাইলেই আমরা কাজে লাগাতে পারি এই সময়টাকে।

সামাজিক মাধ্যমকে দক্ষতা বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করতে পারি। ইন্টারনেটে পুরো পৃথিবীটাই তো আমরা হাতের মুঠোয় পেয়ে যাই। তাই অনেক কিছু এখন ঘরে বসেই করা যায় এবং জানা যায়। 

আমরা চাইলেই দেশসহ বিদেশের সংবাদপত্র পড়তে পারি। সবকিছু জানা যায় এক নিমিষেই। আর এখন তো কিনেও পড়তে হয় না খবরের কাগজ। ইন্টারনেট ব্যবহারের কোনো এক ফাঁকে যতখুশি পড়ে নেওয়া যায় একদম বিনামূল্যেই। এই সুযোগটা নিশ্চয়ই হাতছাড়া করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। 

এরপর আমাদের বড় একটা সময় কাটে ভিডিও কন্টেন্টের মাধ্যম ইউটিউবে। এটাকেও আমরা কাজে লাগাতে পারি। আমার তো মনে হয় পৃথিবীর সবকিছু দেখা যায় এখানে। শেখার জন্যও ভালো একটি উপায় এটি। কেউ ভাষা শিখছে,  কেউ রান্না শিখছে, কেউ অঙ্কন-আবৃত্তিও শিখছে।

আমরা চাইলেই নিজেদের পছন্দের কাজগুলোতে হাত পাকিয়ে নিতে পারি। শুধু যে শিখতে হবে তা কিন্তু নয়, আমরা অনেকেই অনেক ক্ষেত্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ। আমরা চাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অন্যদের শেখাতেও পারি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com