শৈশবের একাল সেকাল

কদিন আগেই আম্মু আব্বুর সঙ্গে তাদের শৈশব নিয়ে গল্প করছিলাম। আমার শৈশবের দিনগুলোর সঙ্গে তাদের শৈশবের দিনগুলো মেলানোর চেষ্টা করলাম। কিন্ত মেলে না।
শৈশবের একাল সেকাল

একটা সময় ছিল যখন সকাল বেলা মানুষের ঘুম ভাঙত মোরগের ডাকে। সেখানে এখন জায়গা করে নিয়েছে মোবাইল ফোন বা ঘড়ির এলার্ম। ঠিক এমনই নানা পরিবর্তন খুঁজে পেলাম এই দুই প্রজন্মের মধ্যে। 

মায়ের কাছে শুনেছি, তার শৈশবের দিনগুলো ছিল অন্য রকম। আমাদের সাথে মেলাতে গেলে অনেক বড় পার্থক্য চোখে পড়বে। বাবা-মায়ের কাছে তাদের বায়নাগুলি ছিল গ্যাস বেলুন, পুতুল বা খেলনা গাড়ির।

মা বলছিলেন, তার ছোটবেলায় নানু জোর করে তাকে দুপুরে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করতেন। ঘুম পাড়াতে গিয়ে এক পর্যায়ে নানু ঘুমিয়ে পড়লে তিনি চুপি চুপি উঠে এক দৌড়ে চলে যেতেন খেলার জন্য। আর এখন বিনোদন আটকে গেছে মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে। কখন খেলা যাবে অনলাইন গেইম সে আশায় থাকে শিশুরা। কেউ ঘর থেকে বেরিয়ে মাঠে খেলতে যেতে আর চায় না।

বাবার কাছে শুনেছি, স্কুলে টিফিনে তিনি খেতেন এক টাকায় একটি সিঙ্গাড়া অথবা দুইটা পুরি। বিশেষ ছিল পাঁচ সিকির ক্রিম বন। কিছুদিন পর তিন টাকার বাটার নান কিনে খেতেন। এলাকার মোড়ের দোকানে এক টাকায় পাওয়া যেত ১০টা বিস্কুট। আবার বাদাম কিনতেন এক টাকায় এক ঠোঙ্গা।

কিন্তু আমাদের চাওয়া পাওয়াগুলো আর ওই বাদাম আর রুটিতে আটকে নেই। বাবা মায়ের সঙ্গে আমাদের সময়টা মিলতেই চায় না। 

বাবা-মায়ের কাছে যতই তাদের শৈশবের গল্প শুনি ততই অবাক হই। মনে হয় তাদের সময় সবচেয়ে বেশি আনন্দদায়ক ও মজার ছিল।

ভেবে দেখলাম আমরা যদি চেষ্টা করি এখনো সহজ সরল জীবন যাপন করতে পারব। আমার মনে হয় আমি পারব। পারি না পারি চেষ্টা করতে তো দোষ নেই।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com