আমার দেখা চলচ্চিত্র

আমার দেখা চলচ্চিত্র

শিশুদের উপযোগী বেশ কিছু চলচ্চিত্র আমি দেখেছি। মহামারির এই অবরুদ্ধ সময়ে এই চলচ্চিত্রগুলো দারুণ সঙ্গ দিতে পারে বলে মনে হয়।

শুরুটাই হয়েছিল সত্যজিৎ রায়কে দিয়ে। তাকে তালিকায় না রাখলে চলচ্চিত্র দেখাই যেন অপরিপূর্ণ থেকে যায়। অস্কারজয়ী এই চলচ্চিত্রকারের পথের পাঁচালী, হীরক রাজার দেশে, পরশ পাথর, গুপী গাইন বাঘা বাইন কী অসাধারণ একেকটি চলচ্চিত্র। 

এরপর ছুটির ঘণ্টা দেখলাম। আশির দশকে মুক্তি পাওয়া আজিজুর রহমান নির্মিত এই সিনেমা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। দেখার পর কষ্ট ছেয়ে গেছে আমাকে। নিজের স্কুলের কথা মনে পড়ছিল তখন।

২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র দূরবীন। ধনী বাবার ছেলে লাবিব। মা নেই তার। বাবা তাকে বিদেশে পড়াশোনার জন্য পাঠাতে চান। কিন্তু লাবিব থাকতে চায় বন্ধুদের সাথে। এ নিয়ে বেশ দারুণ একটি গল্প মনে হয়েছে আমার কাছে।

অধ্যাপক জাফর ইকবাল স্যারের বই আমরা অনেকেই পড়েছি। তার লেখা বই থেকে নির্মিত হয়েছে শিশুতোষ চলচ্চিত্র। তার বই অবলম্বনে তৈরি দীপু নাম্বার টু এবং আমার বন্ধু রাশেদ দেখার মনে হয়েছে এটা আমার গল্প, আমাদের গল্প। চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রগুলো আমার বয়সী হওয়ায় বারবার মনে হচ্ছিল এটা তো আমি।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের 'হীরের আংটি' বই নিয়েও চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। এছাড়া দেখলাম কাকাবাবু সিরিজের 'কাকাবাবু হেরে গেলেন', 'এক টুকরো চাঁদ', 'সবুজ দ্বীপের রাজা', মিশর রহস্য। বেশ চমৎকার।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের নির্মিত 'মাটির ময়না' কোনোভাবেই বাদ দেওয়া উচিত না। মুক্তিযুদ্ধ আর ভাই-বোনের ভালোবাসা কী দারুণ ভাবে ফুটে উঠেছে এই চলচ্চিত্র। 

'মাটির প্রজার দেশে' আরেকটি চলচ্চিত্র আছে যেখানে আমাদের শৈশব ও কৈশোর দারুণ ভাবে ধরা দেয়।

এ ছাড়াও গেরিলা, আগুনের পরশমণি, হাঙর নদী গ্রেনেড, ওরা ১১ জন, শ্যামল ছায়া নামে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাধারণ কিছু চলচ্চিত্র আছে। 

এই বন্দি সময়টা চলচ্চিত্রের সঙ্গে যেমন উপভোগ করা যায় তেমনি শেখার আছে অনেক কিছু।

Related Stories

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com