ঈদের দিন সাধারণত জামাত শুরুর আগে বড়রা ছোট সদস্যদের সালামি দিয়ে থাকে। অনেক জায়গায় জামাতের পরেও দেওয়া হয়। শিশুদের আবদার থাকে নতুন টাকা দিতে হবে। বড়দের পা ছুঁয়ে সালাম করার তারা টাকা দিয়ে থাকে। যদিও আজকাল পা ছুঁয়ে সালাম না করে, শুধু শুভেচ্ছা বিনিময়ের মতো সালাম দিতে বলা হয়। পা ছুঁয়ে সালামকে অনেকে বলে থাকেন এটা ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। তাই দিন দিন এটা কমে যাচ্ছে বলেই ধরা যায়।
ঈদের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগে সবাই। শিশুরা উচ্ছ্বসিত থাকে কখন পাবে সালামি। গোসল সেরে মিষ্টান্ন খেয়ে তারা একে একে সবার কাছে যেতে থাকে। অবশ্যই আগে সবাই নতুন পোশাক পরে নেয়।
বাবা-মা, মামা-মামী, চাচা-চাচী, খালা-খালু, ফুফা-ফুফু, বড় ভাইরা সাধারণত সালামি দিয়ে থাকে। সালামির নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ থাকে না। শিশুদের দাবি থাকে একটা, বড়রা চেষ্টা করেন সেটা সাধ্যমতো মেটাতে। এদিন অন্তত শিশুদের মন খারাপ হোক এটা কেউই চায় না। বড় অংকের সালামিটা পাওয়া যায় সাধারণত মা-বাবার কাছ থেকেই।
যত বড় হচ্ছি সালামির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এখন আরও দিতে হয় ছোটদের। আমি সালামির সব টাকা জমিয়ে রাখি।
সালামি পেতে যতটা আনন্দ সেটা জমিয়ে রাখতেও আমার ঠিক ততটাই আনন্দ লাগে।