আমার পরিবার সনাতন ধর্মের অনুসারী। কিন্তু উৎসব তো সবার। এই উৎসবের সময় বড় একটি ছুটি থাকে, তাছাড়া জাতীয় ভাবে আয়োজন থাকে, গণমাধ্যমে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা থাকে- সব মিলিয়ে কোনোভাবেই উৎসবটি এড়িয়ে যাওয়ার মতো না। চারদিকে আমেজ বয়ে যায়, তা এড়িয়ে যাবই বা কেন?
আমরা দুই বোন তো ঈদে বাবার কাছ থেকে নতুন পোশাকও কিনে নিতাম।
এবার মহামারির জন্য আমাদের পরিকল্পনাতেও কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। অন্যান্য সময় আমরা ঘুরতে বের হই। এবার মহামারি পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে কোথাও বের হব না।
ঈদের দিন আমাদের বাড়িতেও জমিয়ে খাওয়া হয়। প্রতিবারের মতো এবারও সকালে মা বাসায় সেমাই, পায়েস রান্না করবেন। আর দুপুরে পোলাও-মাংস। আমাদের প্রতিবেশিরাও বাসায় নানা প্রকার পিঠা পাঠিয়ে দেন। কেউ কেউ আবার দাওয়াতও দেন।
আমার মুসলিম বন্ধুরা যেতে বলে তাদের বাসায়। এবারও বলেছে। তাই ভেবেছি এবার বাইরে ঘুরতে বের না হয়ে বন্ধুদের বাসায় যাব। তারা আমাদের ফ্ল্যাটেই থাকে।
উৎসবের আগে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এটা আমাদের সবাইকে মানতে হবেই। তাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করব স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব উদযাপন করার।
বাবা এবছরও অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। বাবা সবসময়ই এটা করার চেষ্টা করেন। আমাদেরকে শেখানোর জন্য তিনি নানা ধরনের মানবিক কাজ করে থাকেন। তার স্বপ্ন তার সন্তানরা যেন বড় মনের অধিকারী হয়।
ঈদের আনন্দ সবাইকে ছুঁয়ে যাক এটাই প্রত্যাশা। মহামারি কাটিয়ে আমরা হয়ত আবার বড় পরিসরের উৎসব করতে পারব। এমন একটি দিন আসবে বলেই তাকিয়ে আছি সবাই।