একটা ঈদ বিসর্জন দিলে কী ক্ষতি হতো?

মহামারির সঙ্গে পুরো বিশ্ব লড়াই করছে। শতভাগ কার্যকরী প্রতিষেধক এখনো পাওয়া যায়নি।
একটা ঈদ বিসর্জন দিলে কী ক্ষতি হতো?

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা মঙ্গলবার ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে দেশে মিলেছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। এটাকে বেশ শক্তিশালী হিসেবে ধরা হচ্ছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

সরকার যখন চেষ্টা করে যাচ্ছে তখন আমরা অনেকেই সেই প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করছি না। জনসমাগম করে মাস্ক না পরেই আমরা কেনাকাটা করতে যাচ্ছি। দূরত্ব বজায় তো রাখছিই না। অনেকে আবার ছোট শিশুদের নিয়েও যাচ্ছেন মলে।

সবচেয়ে বড় ঝুঁকিটি মনে হয় তৈরি করবে ঘরমুখো মানুষ। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে মানুষ রাজধানী ছাড়ছে।

মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে, ফেরিতে দাঁড়িয়ে পদ্মার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ পাড়ি দিচ্ছে ঈদে ঘরমুখী মানুষ। 

এদিকে সরকার প্রধান শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছেন। রোববার তিনি বলেন, “আমি জানি, ঈদের সময় মানুষ পাগল হয়ে গ্রামে ‍ছুটছে। কিন্তু এই যে আপনারা একসাথে যাচ্ছেন, এই চলার পথে ফেরিতে হোক, গাড়িতে হোক, যেখানে হোক- কার যে করোনাভাইরাস আছে আপনি জানেন না। কিন্তু আপনি সেটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আপনার পরিবারের কাছে।

“মা, বাবা, দাদা, দাদি, ভাই, বোন- যেই থাকুক, আপনি কিন্তু তাকেও সংক্রমিত করবেন। তার জীবনটাও মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে দেবেন।”

কে শোনে কার কথা, আমাদের কাছে এখন ঈদই মুখ্য হয়ে গেল। আমরা মুহুর্তেই ভুলে গেলাম মহামারি। বাড়িতে থাকা শিশু, বৃদ্ধ কারো কথাই ভাবলাম না। ঈদ প্রতিবছর আসে, মহামারি তো কেটে যেতই।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com