মে দিবসে আমার প্রত্যাশা

‘সবচেয়ে ভালো খেতে গরিবের রক্ত’ -কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের এ কথাটা একদম সত্য। এ সত্য শ্রমিকদের জীবনের দিকে তাকালেই খুঁজে পাওয়া যায়। অনেক শিশু শ্রমজীবীর রক্ত আজ চুষে খাচ্ছে মালিক পক্ষ।
মে দিবসে আমার প্রত্যাশা

১৮৮৬ সালে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ ও অন্যান্য অধিকারের দাবিতে আমেরিকার শিকাগোতে শ্রমিকদের রক্ত দেওয়া থেকে মে দিবসের সূচনা। কিন্তু আজ একবিংশ শতাব্দীতে এখনো বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রমিক তাদের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না। তাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি বন্ঞ্চিত হচ্ছে শিশু শ্রমিকরা।

শিশুদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি, এ ধারণা এখনো বিদ্যমান। অভাবের তাড়নায় অসংখ্য শিশু প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে শ্রমে। অশিক্ষা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের মধ্যে বেঁচে থাকার সংগ্রামে অনেক শিশু বাধ্য হয়েই বেছে নিয়েছে নানা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমকে।

এছাড়া শিশু শ্রমিকদের সইতে হচ্ছে নানা নির্যাতনও। কম মজুরির পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন যেন প্রতিদিনের ঘটনা।

বর্তমানে যারা নিজেদেরকে সভ্য বলে দাবি করেন তাদের অনেকেও শিশুদের নিয়ে ভাবেন না। তাদের বাড়িতে দেখা যায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছে শিশু। সেখানেও তারা কখনো কখনো কঠোর নির্যাতনের শিকার হয়ে থকে। অনেকে পায় না শিক্ষা ও খাদ্যের অধিকার। সব মিলিয়ে শ্রমজীবী শিশুরা এক দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হয়।

শিক্ষার সুযোগ না থাকায় সেই শিশুরাও বড় হয়ে নিজেদের জীবনের মান উন্নত করতে পারে না। ফলে তারা দারিদ্র্যের চক্রে ঘুরপাক খেতেই থাকে।

এই মেদিবসে আমার চাওয়া হলো প্রত্যেক শিশু শ্রমজীবী যেন তার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, শিশু শ্রম আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন যেন ঘটে।

আমাদের সমাজ ও জাতিকে আলোকিত পথে পরিচালিত করতে হলে শিশুশ্রম বন্ধ করতেই হবে। অধিক মুনাফার লোভে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ রোধ করতে হবে। পাশাপাশি অভিভাবকদের তার সন্তানের ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। তবেই সুন্দর হবে আমাদের ভবিষ্যত।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com