বৃহস্পতিবার রাতের ট্রেন ছেড়েছিল প্রায় ৩০ মিনিট দেরি করে। শুক্রবার সকালে পৌঁছে যাই সীতাকুণ্ডে। এরপর গন্তব্য চন্দ্রনাথের চূড়া। ১১৫২ ফুট উঁচুতে ওঠাটা বেশ ক্লান্তিকর হলেও ওপরে ওঠার পর চারপাশের প্রকৃতি দেখার পর সেই ক্লান্তি আর থাকে না।
পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে ওঠার পর নেমে আসি সিঁড়ি দিয়ে। বিকেলের সময়টা কাটাই ইকো পার্কে। সেখান থেকে রাতে মহামায়া লেকে ক্যাম্পিং। হাঁড় কাপানো শীতের মাঝে লেকের পাশে তাঁবু গেড়ে রাতটা কাটিয়ে দেওয়াটা যে কী অসাধারণ হতে পারে তা লিখে বোঝানো যাবে না।
আড্ডা, আর বারবিকিউ সবশেষে ঘুমকে একটু সময় বরাদ্দ দেওয়া। সকালে উঠে কায়াকিং করলাম প্রায় দেড় ঘণ্টা। বেশ ভালো একটা অভিজ্ঞতা ছিল। একদম রিফ্রেশিং...
এরপর লেকে গা ভিজিয়ে রওনা দিলাম খৈয়াছড়া। ঘড়িতে দুপুর একটা। ঝর্ণা দেখে এরপর ইচ্ছেমতো পেট ভরে খাওয়াদাওয়া আর চা চক্র।
ছোট্ট এ ট্যুরের সমাপ্তি টেনে ফের তূর্ণায় করে ব্যস্ত ঢাকায় ফেরার সময় বারবার মনে হচ্ছিল মাত্র দুই দিনের ভ্রমণ চট্টগ্রাম দেখার জন্য যথেষ্ট না আসলে।ভ্রমণের সময়কাল খুব ছোট হলেও বহর ভালোই বড় ছিল, ১৪ জনের।
এই বিশাল বহরের একজন আরেকজনের যে কি কাজে এসেছে তা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না! আমার অভিজ্ঞতাটাই বলি। খাগড়াছড়ির রিসাং ঝর্ণায় পা পিছলে গিয়েছিল, অনেক বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছিলেন। খৈয়াছড়াতেও আমার ঐ ঘটনা মনে পড়ছিল, ভয় পাচ্ছিলাম, পা ঘামছিল। পুরোটা পথ আমাকে ধরে নিয়ে গিয়েছে এবং নিয়ে এসেছে নাফীস। ও হ্যাঁ, বিদ্যা প্রাপ্তি আমার সাথে দেখা করার জন্য স্টেশনে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। তার এমন কাজ নিজেকে 'ভিআইপি' অনুভূতি দিচ্ছে। চট্টগ্রাম, আবার আসব ইনশাল্লাহ!