দীপ্তির 'দীপ্ত কৈশোর'

"ইদানিং নিজেকে আয়নায় দেখার সময় অদ্ভুত অনুভূতি হয়, নতুন লাগে নিজেকে। নিজের মাঝে অনেক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। আমার আশপাশটা কেমন যেন লাগে এখন, ঠিক আগের মতো না।"কৈশোরের শুরুতে আমাদের অনেকেরই বক্তব্যটা এমন থাকে।
দীপ্তির 'দীপ্ত কৈশোর'

শৈশব থেকে সবে মাত্র যখন কৈশোরে পা রাখি তখন হাজারটা ভাবনা আসে মনে, ভয় পেয়ে যাই, ভাবি এ কেমন সমস্যা। একজন শিশু থেকে একজন নারী বা পুরুষে পরিণত হয় এ সময়ের মধ্য দিয়ে। শৈশব আর যৌবনের সেতুবন্ধন হলো কৈশোর।

কৈশোরে মনে হয় আমাদের সমস্যাগুলো কেউ বোঝে না, কাউকে বলতে পারছি না কথাগুলো। এ ধারণাটা কিন্তু সম্পূর্ণ সত্য নয়, অনেকেই ভাবছেন আমাদের নিয়ে।

আমাদের নিয়ে অনেক বড়রা তো ভাবছেনই, অসাধারণ এক কিশোরীও কিন্তু আমাদের কথা ভাবে। নিজে কিশোরী হয়েও আমাদের সমস্যা নিয়ে কাজ করে।

আমাদের কথা ভেবে বইও লিখে ফেলেছে ‘দীপ্ত কৈশোর’ নামে। তার নাম দীপ্তি চৌধুরী। আমার বান্ধবী, আমাদের মতোই একজন কিশোরী।

আমাদের  সমস্যাগুলো, তার সমাধান, আমাদের করণীয়, বর্জনীয় নিয়েই লিখেছে আমাদের জন্য। 

দীপ্তি ছয় বছর ধরে কিশোর-কিশোরীদের সাথে কাজ করছে। কেন ওর এই বই লেখার আগ্রহ তৈরি হলো তা নিয়ে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে ওর।

বলে, “দীর্ঘ সময় কিশোর-কিশোরীদের সাথে কাজ করার ফলে তাদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। লক্ষ্য করি শুধুমাত্র কৈশোর সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব কিংবা ভুল তথ্যের জন্য অনেক কিশোর কিশোরী সমস্যায় ভোগে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি শিকার হয়, অনেকে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

“অধিকাংশ ক্ষেত্রে বয়সন্ধিকালকে কিশোর কিশোরীরা সমস্যা ভাবছে, ভয় পাচ্ছে বলে আমার মনে হয়। চেয়েছিলাম কিশোর কিশোরীরা সঠিক তথ্য জানুক কৈশোর কাল সম্পর্কে। সম্ভাবনাময় কৈশোর কালকে উদযাপন করতে শিখুক সবাই। এই চিন্তা থেকেই ‘দীপ্ত কৈশোর’ লেখার উদ্যোগ।

বইটি লেখা শেষ করতে দীপ্তির সময় লেগেছিল মাত্র দশ দিন কিন্তু এই লেখার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে। এত সময় ধরে কিশোর-কিশোরীদের সাথে কাজ করে সময় কাটিয়ে তাদেরকে বোঝার চেষ্টা করেছে ও।

আর ভবিষ্যতে তার লেখালেখি নিয়ে পরিকল্পনা জানতে চাইলে ও বলে, মানসম্মত আরো বই লিখতে চায়। সমাজের অন্ধকার জায়গাগুলোতে আলো ফেলতে চায়।

আমরাও চাই তার দীপ্তি ছড়িয়ে দিক আমাদের সমাজে। তার লেখার মাধ্যমে,কাজের মাধ্যমে আলোকিত হয়ে উঠুক আমাদের সমাজ। শুভ কামনা বন্ধু।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com