পাটগ্রাম উপজেলা শহর পেরিয়ে কিছুদূর এগিয়ে যেতেই মনে হলো এ যেন এক অন্য রাজ্যে এসে পৌঁছেছি। মহাসড়কের দুই পাশে দৃষ্টি সীমার মধ্যে যতদূর দেখা যায় শুধু পাথর আর পাথর। সারি সারি স্তুপ করে রাখা বড় বড় পাথরের পাহাড়।
কোনো কোনো স্তুপ এতই বড় যে, দেখে যেন মনে হয় এ এক বিরাট বড় পাথরের পাহাড়। মনে হচ্ছিল আমি যেন এক পাথর রাজ্যে এসে পড়েছি। প্বার্শবর্তী দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের পাথর আসে।
দেখলাম বড় বড় পাথরকে মেশিনে ভেঙে চলছে ছোট ছোট টুকরো করার কাজ। প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক পাথর ভাঙার কাজ করে এখানে। যাদের অধিকাংশই নারী।
আর একটু এগিয়েই চোখে পড়ে সারি সারি পণ্যবাহী ট্রাক। ভারত, ভূটান এবং নেপালের সঙ্গে স্থলপথে মালামাল আমদানী ও রপ্তানির সুবিধার্থে বুড়িমারী জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১৯৮৮ এ বন্দরটি চালু করা হয়। এ বন্দর দিয়ে ভারত, ভূটান ও নেপাল হতে কয়লা, কাঠ, পাথর, সিমেন্ট, চায়না ক্লে, বল ক্লে, কোয়ার্টজ, রাসায়নিক সার, কসমেটিক সামগ্রী, পশু খাদ্য, ফলমূল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, ডাল, গম, বিভিন্ন ধরণের বীজ, তামাক ডাটা প্রভৃতি মালামাল আমদানী করা হয়। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয় ইলিশ মাছ, মেলামাইনের তৈরি বাসনপত্র এবং ঔষধ।
পাথর আর পণ্যবাহী ট্রাকের সারি পেরিয়ে একটু সামনে এগোতেই চোখে পড়ল বুড়িমারী হাসর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বিদ্যালয়ের মাঠেই ছিল ৬ নম্বর সেক্টরের প্রধান কার্য্যালয়। এখানে চোখে পড়ল মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি বিজড়িত নিদর্শন।